ওয়েব ডেস্ক: নিজের সন্তানের উপর নৃশংস অত্যাচার হচ্ছে দেখেও কেন চুপ রইলেন মঙ্গলা গোস্বামী? কলকাতায়  পুলিসের কাছেই বা কেন মুখ খুললেন না মঙ্গলা?  পুরুলিয়া সূচকাণ্ডে মায়ের ভূমিকা নিয়ে তোলপাড় কোর্টরুম। ধৃত মঙ্গলা গোস্বামীর দুদিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 


এ প্রশ্ন ঘিরেই রবিবার উত্তপ্ত রইল পুরুলিয়ার ভারপ্রাপ্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট  শুভদীপ মিত্রের এজলাস। শুরুতেই মঙ্গলার আইনজীবী অভিষেক ব্যানার্জি বলেন, মঙ্গলা গোস্বামী ঘটনার শিকার, তিনি অভিযুক্ত নন। এফআইআরে তাঁকে ঘটনার শিকার হিসেবে দেখানো হয়েছে। তাকে অভিযুক্ত বলা হচ্ছে কী করে? সরকারি আইনজীবী অরুণ মজুমদার পাল্টা বলেন, এতদিন সন্তানের ওপর অত্যাচার হল, তবু মা মুখ বুজে রইলেন। মা কোথাও অভিযোগ করলেন না কেন? কেন চাইল্ড লাইনের অফিসাররা অভিযোগ করবেন? এটা তো মায়ের করা উচিত ছিল।


এরপর সরকারি আইনজীবী বলেন, সনাতনের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল মঙ্গলার। আর তারই বলি হতে হল এই শিশুকে। মায়ের উপস্থিতিতে জঘন্য অপরাধ হয়েছে। মা হওয়া সত্ত্বেও, সন্তানের ওপর অত্যাচার নিয়ে মঙ্গলা চুপ ছিলেন। মঙ্গলার আইনজীবী, পাল্টা বলেন, সনাতন মা ও মেয়ে দুজনেই সনাতনের শিকার। সনাতনকে ভয় পেতেন বলে পুরুলিয়ায় কাউকে বলতে পারেননি। এটা ওঁর দুর্বলতা।


তখন সরকারী আইনজীবী বলেন, মঙ্গলা পুরুলিয়া পুলিসকে কিছু বলেননি। এসএসকেএমের ফাঁড়িতেও জানাতে পারতেন, জানান নি। কলকাতা পুলিসের কাছে বলতে পারতেন, বলেননি। পুরুলিয়া না হয় তাঁর কাছে নিরাপদ ছিল না, কলকাতা তো নিরাপদ ছিল। কেন সেখানে মুখ খুললেন না? মায়ের কোনও উদ্যোগ ছিল না অসুস্থ বাচ্চার চিকিত্‍সার জন্য। সঠিক তদন্তের জন্য মঙ্গলার পুলিস হেফাজত চাই আমরা।


অভিযুক্তের আইনজীবী অভিষেক ব্যানার্জি বলেন, সনাতনকে ধরতে কেন মঙ্গলাকে পুলিস হেফাজতে লাগবে? সওয়াল জবাবের শেষে, আদালত মঙ্গলার তিন দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেয়। তবে এত সবের মধ্যে একটা কথাও বলেননি মঙ্গলা গোস্বামী। আদালতে আগাগোরা চুপ ছিলেন ।