নিজস্ব প্রতিবেদন:  রাতারাতি নির্দেশ বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। সোমবারই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দেয়, মঙ্গলবারও মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া যাবে। মঙ্গলবার সকালে সেই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করে নির্বাচন কমিশন।  জানিয়ে দেওয়া হয়, মনোনয়ন  জমা দেওয়ার সময়সীমা বৃদ্ধির নির্দেশ বাতিল। এরপরই জোর জল্পনা ওঠে রাজনৈতিক মহলে। হঠাত্ কেন ডিগবাজি খেল নির্বাচন কমিশন? সূত্র মারফত জানা যায়, আইনজীবী তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার রাতে একটি মেল করেন নির্বাচন কমিশনে। সেই মেল দেখেই সিদ্ধান্ত বদল কমিশনের। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কী লেখা ছিল সেই মেলে?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: রাতারাতি নির্দেশ বাতিল কমিশনের, আর জমা দেওয়া যাবে না মনোনয়নপত্র


২৪ ঘণ্টাকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কমিশনের গতকালের বিজ্ঞপ্তি বেআইনি। রাত ১১.৪৬ মিনিটে আমি মেল করি। কমিশনের বিজ্ঞপ্তি যে বেআইনি তা মেলে জানাই। কীভাবে আইন লঙ্ঘিত হয়েছে, তাও জানাই। অবিলম্বে বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের কথা বলেছি।‘


কীভাবে নির্বাচন কমিশন আইন লঙ্ঘন করেছিল?


আরও পড়ুন: দুমড়ে গেল অনুব্রত মণ্ডলের পাইলট কার, বেরিয়ে এল দেহ ভিতরে উঁকি দিতেই দেখা গেল চাপ চাপ রক্ত


আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৬/২ ধারা অনুযায়ী, যদি নির্বাচন কমিশনের কাছে ভুরভুরি অভিযোগ জমা পড়ে, তাহলে তারা একটি নির্দেশিকা জারি করতে পারে। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রার্থীরা গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির মনোনয়নপত্র এসডিও কিংবা বিডিও অফিসে জমা করতে পারেন। কিন্তু ৪৬/২ ধারার শেষ লাইনে বলা রয়েছে, নির্বাচন কমিশন যে বিজ্ঞপ্তিতে সংশ্লিষ্ট নির্দেশিকা জারি করবে, ঠিক সেই বিজ্ঞপ্তিতেই মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমা বৃদ্ধির নির্দেশিকা থাকতে হবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। অর্থাত্ মনোনয়নপত্র এসডিও কিংবা বিডিও অফিসে জমা করার বিজ্ঞপ্তি নির্বাচন কমিশন ৫ এপ্রিল জারি করেছিল। অন্যদিকে, মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমা বৃদ্ধির বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় ৯ এপ্রিল। অর্থাত্ সেটি অবৈধ।


কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক এই বিষয়টিই মেলে তুলে ধরেন।  তারপরই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করে নির্বাচন কমিশন।


বিস্তারিত জানতে দেখুন এই ভিডিও..