নিজস্ব প্রতিবেদন : আত্মরক্ষার্থেই 'প্রাক্তন' স্বামী প্রতুল চক্রবর্তীকে খুন করেছেন তিনি। পুলিসি জেরায় চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন ধৃত স্ত্রী অদিতি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পুলিসের কাছে অদিতি জানিয়েছেন, বাজারে প্রচুর টাকা ধারদেনা করে ফেলেছিলেন স্বামী প্রতুল চক্রবর্তী। প্রায়ই দেনাদাররা বাড়িতে এসে অত্যাচার করত। আট থেকে নয় মাস আগে প্রতুল চক্রবর্তীর সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে যায় তাঁর। তারপর থেকে প্রায়ই মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিত।


বুধবার রাতেও মদ্যপ অবস্থায় খড়দার বাড়িতে আসেন প্রতুল চক্রবর্তী। সেইসময় বচসা চলাকালীন তাঁকে মেরে ফেলারও চেষ্টা করেন প্রতুলবাবু। তখনই নিজেকে বাঁচাতে ঘরের ভিতর থাকা দড়ি দিয়ে প্রতুল চক্রবর্তীর গলায় ফাঁস দেন তিনি। তাতেই মৃত্যু হয় প্রতুল চক্রবর্তীর।


আরও পড়ুন, দাবার নেশায় বাধ সাধে স্ত্রী, শ্বাসরোধ করে খুনের পর ঝুলিয়ে দিল স্বামী


এরপরে বাড়ি চলে আসেন। পরদিন সকালে কাজেও যোগ দেন। বৃহস্পতিবার রাতে সেখান থেকেই পুলিস তাঁকে গ্রেফতার করে। অদিতি আরও জানিয়েছেন, ১০ বছর আগে প্রতুল চক্রবর্তীর সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। কিন্তু সম্প্রতি অশান্তি শুরু হয়। বনিবনা হচ্ছিল।


গতকাল খড়দার শান্তিনগরের খালপাড় থেকে উদ্ধার  হয় প্রতুলবাবুর দেহ। শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে প্রথমেই সন্দেহ করে পুলিস। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া যায় মহিলাদের একটি রুমাল। উদ্ধার হওয়া সেই রুমালের সূত্র ধরেই প্রতুল চক্রবর্তীর স্ত্রী অদিতিকে গ্রেফতার করে খড়দা থানার পুলিস।


জানা গিয়েছে, খুনের মাত্র ৪ দিন আগে ওই এলাকায় ভাড়া এসেছিলেন প্রতুল চক্রবর্তী। নিজেকে কেষ্টপুর, ঘোলা সহ বিভিন্ন জায়গার হেল্থ সেন্টারের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। এমনকি বাড়িওয়ালা শ্যামল মজুমদারকেও চাকরি করে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। চারদিনের মধ্যে এমন ঘটনায় হতবাক এলাকাবাসী।


আরও পড়ুন, নগ্ন ছবি দেখিয়ে টানা ৪ বছর ধরে গৃহবধূকে ধর্ষণ পুরকর্মীর!


বাড়িওয়ালা শ্যামল মজুমদার জানিয়েছেন, দালাল অমিতাভ চৌধুরীর মাধ্যমে ভাড়া এসেছিলেন প্রতুল চক্রবর্তী। তাঁর স্ত্রী প্রথমেই আসেননি। এবার স্ত্রী আসবেন বলে জানিয়েছিলেন। সেইজন্য তাঁর কাছ থেকে বাড়ির গেটের চাবি নিয়ে গিয়েছিলেন প্রতুল চক্রবর্তী। এমনকি, স্ত্রী আসবেন বলে কাউকে উপরে আসতে না-ও করে দিয়েছিলেন। এরমধ্যেই বুধবার রাতে খুন হন প্রতুল চক্রবর্তী।


জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়িওয়ালা শ্যামল মজুমদার ও দালাল অমিতাভ চৌধুরিকে প্রাথমিকভাবে আটক করে পুলিস। পরে উদ্ধার হওয়া রুমালের সূত্র ধরে গ্রেফতার করা হয় প্রতুল চক্রবর্তীর স্ত্রীকে। দমদম এয়ারপোর্টের চাইল্ড কেয়ার অফিসার হিসেবে কর্মরত অদিতি। অদিতির আগের পক্ষের স্বামী ছিলেন দমদম এয়ারপোর্টের চাইল্ড কেয়ার অফিসার। স্বামীর মৃত্যুর পর সেই কম্পেনসেশন গ্রাউন্ডে সেই চাকরিটাই পান অদিতি।