সোমা মাইতি: থমথমে মুর্শিদাবাদের নওদা। দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই কি খুন তৃণমূল নেতা? অপরাধী কারা? প্রথমে সিবিআই তদন্তের দাবি করেছিলেন নিহতের স্ত্রী। পরে বললেন, 'দিদির কাছে হাতজোড় করে অনুরোধ, আমি সিআইডি তদন্ত চাই। আমার স্বামীর খুনীদের বার করুক'। ১০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে থানায়। দোষীদের চিহ্নিত করা যায়নি এখনও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, নদিয়ার করিমপুর ২ ব্লকে তৃণমূলের মাইনোরিটি সেলের সভাপতি ছিলেন মতিরুল ইসলাম। বাড়ি, করিমপুর ২ ব্লকেরই থানারপাড়া এলাকায়। তাঁর স্ত্রী নারায়ণপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। গতকাল, বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের নওদায় যান মতিরুল। কেন? নওদার একটি আবাসিক স্কুলের পড়ে ছেলে। স্কুলে হস্টেলে ছেলের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন ওই তৃণমূল নেতা। 


অভিযোগ, সন্ধেবেলায় যখন বাড়ি ফিরছিলেন, তখন নওদায় শিবতলা এলাকায় মতিরুলকে ঘিরে ধরে দুষ্কৃতীরা। তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি-বোমা ছোঁড়া হয়! বোমার আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে যায় দেহ। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তৃণমূল প্রধানের স্বামীর। এদিন ময়নাতদন্তের পর দেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। শেষকৃত্য হয় নদিয়ার করিমপুরে।



এদিকে তৃণমূল নেতা খুন হওয়ার পর মুর্শিদাবাদের নওদায় লাগাতার তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস। বেশ কয়েকজন জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। কিন্তু এখনও কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। কেন? স্বামীর খুনে সিবিআই তদন্তেরই দাবি করেছিলেন নিহতের স্ত্রী। বলেছিলেন, 'সিবিআই তদন্ত করে খুনীদের বের করুক। সিবিআই তদন্ত করলেই শিকড় পর্যন্ত পৌঁছে যাবে'। তৃণমূল জেলা নেতৃত্বের দাবি, আবেগের বশেই সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন তিনি! এরপর সুর বদলে যায় মতিরুলের স্ত্রী। সিবিআই নয়, দাবি করেন সিআইডির তদন্তের।



মুর্শিদাবাদের যে এলাকায় খুন হলেন তৃণমূল নেতা  মতিরুল ইসলাম, সেই নওদা এলাকাটি নদিয়ার তেহট্ট বিধানকেন্দ্রের অন্তর্গত। স্থানীয় বিধায়ক তাপস সাহার দাবি, 'নারায়ণপুর ২ নম্বর অঞ্চল, একটির দায়িত্বে মিঠু, আর একটার মতি। এদেরকে টিনা সাহা বারবার বলেছিল বিজেপির হয়ে ভোট করতে! গত বছর ধরে এদের মারার ষড়যন্ত্র চলছে। আমরা বারবার প্রশাসনকে বলেছি। দলকে জানিয়েছে, অভিষেককে জানিয়েছে, দিদিকে জানিয়েছে। একাধিকবার মারার ষড়যন্ত্র'! 


আরও পড়ুন: 'দখলদারির রাজনীতির করুণ পরিণতি', তৃণমূল নেতা খুনে থমথমে নওদা প্রসঙ্গে কটাক্ষ বিরোধীদের


কেন এই টিনা সাহা? তৃণমূলেরই জেলা পরিষদ সদস্য তিনি। টিনার পাল্টা দাবি, 'তাপস সাহা চাকরি দেওয়ার নাম করে  টাকা তুলেছিলেন। মতিরুল ইসলাম বিধায়কের কাছে ৫৬ লাখ টাকা পেতেন।  দীর্ঘক্ষণ ধরেই টানাপোড়েন চলছিল। তারপর এই ঘটনা, প্রশাসন তদন্ত করুক। আসল দোষীদের সামনে আনুক'। কে 'আসল দোষী'? তাঁর মন্তব্য,  'সে বিধায়কও হতে পারে' ।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)