'দখলদারির রাজনীতির করুণ পরিণতি', তৃণমূল নেতা খুনে থমথমে নওদা প্রসঙ্গে কটাক্ষ বিরোধীদের

প্রতীকী ছবি

সোমা মাইতি: তৃণমূল নেতা খুনের জেরে থমথমে মুর্শিদাবাদের নওদা। রয়েছে চাপা উত্তেজনা। এখনও চিহ্নিত করা যায়নি খুনিদের। বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি পুলিসের। বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ। রাজনৈতিক কারণেই খুন মতিরুল। তদন্তে প্রাথমিক অনুমান পুলিসের। জেলা পরিষদ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিধায়কের। বিজেপি, সিপিএমের দিকেও অভিযোগ। দখলদারির রাজনীতির করুণ পরিণতি। মুর্শিদাবাদের ঘটনায় মন্তব্য বিজেপির। বাংলায় এমন হিংসা চলতে থাকবে, তোপ  অধীর চৌধুরীর। শাসক দলকে নিশানা সিপিএমেরও।

তৃণমূল নেতা খুনের পর দিন সকালে এলাকায় চাপা আতঙ্ক কাজ করছে। মাঝেমধ্যে পুলিসি টহল চলছে। গতকাল জেলা পুলিস সুপার সুরেন্দ্র সিং ঘন্টাখানেক ঘটনাস্থলে ছিলেন। এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। যে সরকারি নিরাপত্তাকর্মী তার সঙ্গে ছিলেন তাকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ নেন। সূত্রের খবর, মতিরুল এবং একজন নিরাপত্তাকর্মী একটি মোটর বাইকের ছিলেন আরেকটি মোটরবাইকে ছিলেন একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার।

ভর সন্ধ্যেবেলায় পরপর বোমাবাজি তারপর গুলি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য ধারালো অস্ত্রের আঘাতও করা হয়েছে। কিন্তু কেন এই নৃশংস খুন ? শুধু কি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই এই খুন? পঞ্চায়েত নির্বাচন যখন এগিয়ে আসছে তখন খুনের রাজনীতি মাথা ছাড়া দিচ্ছে। মতিরুল খুনের পেছনে তার নিজের দলের কর্মীদের একাংশের মদত রয়েছে এমনটাই প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া উঠে এসেছিল।  পরবর্তী সময় বিরোধীদের চক্রান্তের অভিযোগও আসছে। 

সকালে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছোন নদীয়া জেলার একাধিক তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার এলাকার বিধায়ক এবং নদিয়া জেলা পরিষদের সদস্যর যে বিস্ফোরক মন্তব্য উঠে এসেছে তার প্রেক্ষিতে পঞ্চায়েত প্রধানের বক্তব্য, তারা যখন এ কথা বলেছেন তার পেছনে কোন কারণ থাকতেই পারে। তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠ দল তাই দলের ভেতরে মনমালিন্য ছিল না এমনটা নয়। সম্প্রতি বেশ কিছু সভাতে দেখা গিয়েছে যেখানে টিনা থাকতেন সেখানে মতিরুল ভাই থাকতেন না অর্থাৎ দূরত্ব একটা ছিলই। টিনা সাহা অভিযোগ করেন, চাকরি সংক্রান্ত টাকা-পয়সার লেনদেনের বিষয়ে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি।

পঞ্চায়েত প্রধানের বক্তব্য, তিনি যখন বলছেন তাহলে নিশ্চয়ই কিছু ব্যাপার থাকতেই পারে। এখন আমরাও অনেক কিছু শুনতে পাচ্ছি। তবে তেহট্টো বিধানসভায় দলকে জেতার জন্য তার ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। সামনে পঞ্চায়েত ভোট তাই তৃণমূল কংগ্রেসের মতিরুল ভাইকে যদি সরিয়ে ফেলা যায় তাহলে বিরোধীদের অনেকটাই সুবিধে হবে। এর পেছনে অবশ্যই কংগ্রেস বিজেপির হাত রয়েছে সঙ্গে হয়তো বা তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশের মদত রয়েছে বলে তার অভিযোগ।