ব্যারাকপুরের সাংসদ যেটা করছে এখানে এনকাউন্টার করে দিলে কি ভালো হবে? বিস্ফোরক কল্যাণ
তাঁর আরও বিস্ফোরক মন্তব্য, দিলীপ ঘোষ নিজেই একটা ল`ব্রেকার। ওদের এমপি গুলো সব আইন ভঙ্গকারী।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ‘কানপুরওয়ালা’ গ্যাংস্টারের এনকাউন্টারের সঙ্গে সঙ্গে উঠে এসেছে নানা প্রশ্ন। কেউ বলছেন ভুয়ো এনকাউন্টার, কেউ খুঁজছেন রাজনৈতিক অভিসন্ধি। যোগী সরকারকে কার্যত কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন বিরোধীরা। এ বার তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন। তিনি বললেন, বিকাশ দুবে বেঁচে থাকলে, উল্টে যেতো উত্তর প্রদেশের গদি। গুজরাটে ২০০২-০৩ সাল থেকে এনকাউন্টার করে করে সরকারে এসেছে বিজেপি।
গত শুক্রবার কানপুরের কাছে পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় গ্যাংস্টার বিকাশ দুবের। উত্তর প্রদেশ পুলিসের দাবি অনুযায়ী, মধ্য প্রদেশ থেকে আনার সময় কানপুরের কাছে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে বিকাশ দুবের গাড়ি। কার্যত গাড়িটি উল্টে যায়। গুরুতর জখম হন পুলিস কর্মীরা। তাঁদের মধ্যে কোনও এক পুলিস কর্মীর থেকে পিস্তল ছিনিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। যোগীর পুলিস দাবি করে, তাঁকে প্রথমে আত্মসমর্পণ করার কথা বলা হয়। কিন্তু পুলিসের উপর গুলি চালানো শুরু করে বিকাশ দুবে। পাল্টা গুলিতে মৃত্যু হয় বিকাশের।
আরও পড়ুন: প্রাক্তন প্রধানের বাড়িতে পড়ে থাকা বোমাকে বল ভেবে খেলতে যাচ্ছিল শিশু! অল্পের জোরে রেহাই
উত্তর প্রদেশ পুলিসের বয়ানেও বেশ কিছু অসঙ্গতি দেখা গিয়েছে। যা হাতিয়ার করে বিরোধীরা শান দিচ্ছেন। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, বিজেপি পার্টি এনকাউন্টারে বিশ্বাসী। কীভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করতে হয় সেটা বিজেপির কাছে শিখতে হবে। বিজেপি এটায় পারদর্শী। বিকাশ দুবের কাজকে আমি সমর্থন করি না কিন্তু তাকে এনকাউন্টার করে মেরে দেওয়াটাও সমর্থন করতে পারি না।
এরপর দিলীপ ঘোষকে একহাত নিয়ে কল্যাণ বলেন, “দিলীপ ঘোষরা তো এনকাউন্টারে বিশ্বাসী। ওরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। ওদের বিশ্বাস ধর্মের ভিত্তিতে দেশকে ভাগ করো আর ক্ষমতায় এলে এনকাউন্টার করে মানুষ মারো। আর বিরোধী দলের নেতা নেত্রীদের জেলে ঢোকাও।” তাঁর আরও বিস্ফোরক মন্তব্য, দিলীপ ঘোষ নিজেই একটা ল'ব্রেকার। ওদের এমপি গুলো সব আইন ভঙ্গকারী। ব্যারাকপুরের সাংসদ যেটা করছে এখানে এনকাউন্টার করে দিলে কি ভালো হবে? সবচেয়ে বেশি গুন্ডা যদি থাকে সে তো বিজেপির মধ্যেই রয়েছে।