নিজস্ব প্রতিবেদন: দোলের স্টক এসে গেছে। এক অজানা নম্বর থেকে মেসেজ এসেছিল পুলিসের নম্বরে। শুধু এই একটাই লাইন। ব্যস, সেই লাইনের সূত্র ধরেই তদন্তে নেমেছিল পুলিস। কীসের স্টক, কোথায় এসেছে, উত্তর হাতড়াতে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিসের হাতে যে তথ্য, তাতে চক্ষু ছানাবড়া। স্থানীয় হোটেলের চোরাকুঠুরি থেকে উদ্ধার হল দুলক্ষ টাকা মূল্যের দেশি ও বিদেশি মদ। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর পরিমাণ বিয়ারও। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: ভূতে ধরেছে, তাই আত্মহত্যা, গৃহবধূর রহস্যমৃত্যু আজব দাবি পরিবারের
সম্প্রতি জলপাইগুড়ি পুলিসের কাছে একটি মেসেজ আসে। সূত্র খুঁজতে এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে ক্রেতা সাজিয়ে স্থানীয় একটি হোটেলে পাঠায় পুলিস। পুলিসের বেশে গেলে একেবারেই হোটেলের অন্দরমহলে পৌঁছানো সম্ভব ছিল না বলেই মনে করেন তদন্তকারীরা। তাই তাঁরা এক ফাঁদ পাতেন। এক ভলেন্টিয়ার ক্রেতা সেজে হোটেলের ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলেন। দোলের আগে ভালো মদ কেনার দাবি নিয়েই ম্যানেজারের কাছে যান তিনি। কথায় কথায় জালে জড়ান তাঁকে। তখন বাইরে অন্যান্য পুলিসকর্মীরা অপেক্ষারত। সিভিক ভলেন্টিয়ারের কথায় গলে যান ম্যানেজার। তাঁকে নিয়ে যান সেই গোপন জায়গায়। 


আরও পড়ুন: বিটি রোডের যানজট কমাতে এবার নয়া উদ্যোগ সরকারের
হোটেলের চোরা কুঠুরিতে পৌঁছানো মাত্রই চোখ কপালে ওঠে সিভিক ভলেন্টিয়ারের। দেখা যায়, কুঠুরি পেল্লাই মদের স্টক। সাজানো রয়েছে দামী বিদেশি মদ। অন্য তাকে রয়েছে দেশি মদ আর একটা তাকে শুধু রাখা রয়েছে বিয়ারের বোতল। পরিস্থিতি বুঝেই বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিসকর্মীদের ইঙ্গিত দেন সিভিক ভলেন্টিয়ার। পরে পুলিস গিয়ে হাতেনাতে ওই ধাবার ৩ কর্মীকে গ্রেফতার করেন।
যতটা আশঙ্কা করেছিলেন, তার থেকেই অনেক বেশি মদ উদ্ধার হয়েছে ওই ধাবা থেকে। পুলিস জানিয়েছে, ওই হোটেলে আগে অফশপ ছিল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর শপ বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু প্রচুর মদ মজুত ছিল হোটেলের গোপন কুঠুরিতে। চাহিদা অনুযায়ী, তা চড়া দামে বাজারে বিক্রি করা হত। হোটেল মালিক পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে।