Jalpaiguri: ভোরে হিমেল বাতাস আর সন্ধে হলেই শিশিরের ছোঁয়া! সঙ্গে নলেনগুড় আর ভাপা পিঠে...
Winter in Districts: ছটপুজোর পরে যেন ধীরে ধীরে শীতের আমেজ বাংলা জুড়ে। বিশেষ করে ভোরের দিকে। দক্ষিণবঙ্গে বাতাসে শীত-শীত ভাব এখনও সেভাবে না এলেও, ক্রমেই শীত বাড়ছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ছটপুজোর পরে যেন ধীরে ধীরে শীতের আমেজ বাংলা জুড়ে। বিশেষ করে ভোরের দিকে। দক্ষিণবঙ্গে বাতাসে শীত-শীত ভাব এখনও সেভাবে না এলেও, ক্রমেই শীত বাড়ছে উত্তরে। জেলাগুলি ক্রমশ শীতের আমেজে ঢুকে পড়ছে। জেলাগুলিতে সকালে যেমন বেশ ঠান্ডা থাকছে আবহাওয়া, তেমনই সন্ধে হলে শিশিরের ছোঁয়া আর হিমেল বাতাস। জানান দিচ্ছে শীত এসে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Bengal Weather Today: এ সপ্তাহের শেষে ১৫ ডিগ্রিতে পৌঁছবে পারদ! শীত কি পাকাপাকি এসেই পড়ল?
আর শীত এলেই নেচে ওঠে খাদ্যরসিকের মন। কেননা, শীতকাল মানেই রকমারি মিষ্টির সম্ভার। তারপর সেটা নলেন গুড়ের হলে তো কোনও কথাই নেই। খেজুর গাছের গায়ে বাঁধা হাঁড়ি জানান দিচ্ছে, শীত এবার জাঁকিয়ে পড়তে চলেছে। এদিকে, শীতের খাবার বলতেই প্রথম যেটি মাথায় আসে, সেটি হল এই নলেন গুড়। তারপর সেই গুড় দিয়ে চলে বিভিন্ন মিষ্টি তৈরি পালা। শীতকাল মানেই পিঠেপুলির সমাহার। এই শীতের হিমেল বাতাস গায়ে মেখে এরই মধ্যে ভাপা পিঠেতে মজেছেন জলপাইগুড়ি মানুষজন।
একসময় বাড়ির মা-ঠাকুমারা এ সময়ে চালের গুঁড়ো, নারকেল, নতুন ওঠা গুড় দিয়ে রকমারি পিঠে বানালেও ইদানীং ঘরে ঘরে সেই প্রবণতা অনেকটাই কমেছে। সময়ের অভাবে এখন সব কিছুই রেডিমেড। ফলস্বরূপ বিভিন্ন বাজারে শীত পড়তেই বসে গিয়েছে পিঠের দোকানের পসরা। বিশেষ করে ভাপা পিঠের চাহিদা এখন তুঙ্গে। কার্তিক মাসের শেষদিক থেকেই বাজারে-বাজারে ভাপা পিঠের হিড়িক পড়ে যায়। সকাল-সন্ধে বাজারে বেরোলেই মাটির হাঁড়িতে ফুটতে থাকা গরম জলের ভাপে চালের এই পিঠে তৈরির দৃশ্য নজরে আসে। ব্যতিক্রম নয় জলপাইগুড়িও। বিভিন্ন বাজারে গেলেই নজরে আসছে ভাপা পিঠের সম্ভার নিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। ক্রেতারাও দেদার কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। কেউ বা সেখানেই বসে গরম-গরম তুলতুলে পিঠে সাবাড় করে দিচ্ছেন।
এক বিক্রেতা এ বিষয়ে বলেন, সন্ধে থেকে রাত পযর্ন্ত পিঠে তৈরি করে বিক্রি করছি। চাহিদা আছে। বানালে সঙ্গে সঙ্গেই তা বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: Gods Idol Recovered: অজয় নদ থেকে উদ্ধার 'বটুক ভৈরবের' মূর্তি, চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়
এক ক্রেতা বলেন, শীত পড়লেই ভাপা পিঠের চাহিদা বেড়ে যায়। খেতে ভীষণ ভালো লাগে দামও সাধ্যের মধ্যে। তাই হামেশাই চলে আসি ভাপা পিঠে কিনতে।