ওয়েব ডেস্ক: চোপড়ায় মনুয়াকাণ্ডের ছায়া। মদ-মাংস খাইয়ে স্বামীকে খুন করে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ স্ত্রীর বিরুদ্ধে। গোটা পরিকল্পনায় পাশে ছিল প্রেমিক। আজ রান্নাঘরের মেঝে খুঁড়ে মিলেছে এক ব্যক্তির দেহ। পাড়া প্রতিবেশীর সন্দেহ, সুধীন ওঁরাওকে খুন করে মাটিতে পুঁতে দিয়েছে স্ত্রী সরস্বতী। সরস্বতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হৃদয়পুরের মনুয়া, জলপাইগুড়ির লিপিকা, হাওড়ার শর্মিষ্ঠার পর এবার চোপড়ার সরস্বতী। ফের প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে খুনের অভিযোগ। প্রেমের পথে কাঁটা স্বামী। তাই পথ থেকে সরাতে হবে। প্রেমিকের সঙ্গে পরিকল্পনা ছকে ফেলে সরস্বতী।


টাকা চাইতে গিয়ে পাওনাদারকে ধারাল অস্ত্রের কোপ ধাবা মালিকের


চোপড়ার সরস্বতী ওঁরাওয়ের সঙ্গে প্রেম ছিল এলাকার এক যুবকের। দুজনের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের, এনিয়ে স্বামী সুধীনের সঙ্গে টানাপোড়েন ছিল সরস্বতীর। জুলাইয়ের শেষের দিকে গ্রামে সালিশিও বসে। তাতেও, সমস্যা মেটেনি। কিছুদিনের জন্য এলাকা ছেড়ে চলে যান সুধীন। এসব নিয়ে বিবাদ চলছিল। পাকাপাকিভাবে সুধীনকে সরানোর প্ল্যান করে সরস্বতী।


এমাসের গোড়ায় বাড়িতে মোচ্ছব বসায় সরস্বতী। রাতে নিজের হাতে হাঁসের মাংস রান্না করে। এন্তার মদ খাওয়ানো হয় সুধীনকে। সেদিনের পরই বেপাত্তা হয়ে যায় সুধীন। সরস্বতীকে স্বামীর কথা জিজ্ঞেস করলে তেমন কোনও উত্তর দিতে পারেনি। সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করে।


সোমবার পচা গন্ধ ছড়ায় গোটা এলাকায়। খবর যায় পুলিসে। সরস্বতীর রান্নাঘরের মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে আসে পচাগলা দেহ। সুযোগ বুঝে এলাকা ছাড়ে সরস্বতী। খোঁজ মিলছে না তার প্রেমিকেরও। উদ্ধার হওয়া দেহাবশেষ কার তা জানতে DNA টেস্ট করা হচ্ছে। তবে, এলাকার বাসিন্দারা নিশ্চিত সরস্বতীই প্রেমিকের সঙ্গে পরিকল্পনা করে স্বামীকে খুন করেছে।