নিজস্ব প্রতিবেদন: অত্যাধুনিক জাপানি মেশিন ব্যবহার করে দিল্লির বিভিন্ন হটস্পট এলাকা স্যানিটাইজ করা শুরু করল দিল্লি সরকার। সোমবার দিল্লির বিভিন্ন স্থানে সেই মেশিনের মাধ্যমে স্যানিটাইজেশন প্রক্রিয়ার ছবি পোস্ট করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিবাল। দিল্লির জল বোর্ডের স্যানিটাইজেশন মেশিনও ব্যবহার করা হচ্ছে। যে স্থানগুলিতে সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে, সেই স্থানগুলি চিহ্নিত করে চলছে দিল্লি সরকারের 'অপারেশন শিল্ড'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোমবার কেজরিবালে স্যানিটাইজেশনের ৪ টি ছবি টুইট করে লেখেন, "দিল্লিতে জোর কদমে স্যানিটাইজেশন প্রক্রিয়া চলছে।" তিনি আরও লেখেন, "১০টি অত্যাধুনিক জাপানি মেশিন সহ মোট ৬০টি মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে।"



কেন্দ্রের চিহ্নিত করা লাল ও কমলা জোনগুলিকে চিহ্নিত করে সেই স্থানগুলি স্যানিটাইজেশনে বিশেষ জোর দিচ্ছে দিল্লি সরকার। আর সেই কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে এই মেশিনগুলি। কী বিশেষত্ব এই জাপানি মেশিনগুলির? দিল্লির রাজিন্দরনগরের এক পৌরকর্তা জানালেন, জাপানের মেশিনগুলির প্রধান বিশেষত্ব হল ছোট-বড় সব স্থানেই এটিকে অ্যাডজাস্ট করে নেওয়ার ক্ষমতা। অর্থাত্ সরু গলি বা ঘিঞ্জি রাস্তাতেও যেখানে বড় মেশিন প্রবেশ করা অসম্ভব সেখানেও ছোটভাবে ভাঁজ করে নিয়ে যাওয়া সম্ভব এই মেশিন। অন্যদিকে বড় রাস্তাতেও একইভাবে কার্যকর জাপানের এই অত্যাধুনিক মেশিনগুলি। ফলে হাতে করে আলাদা করে সাফাইকর্মীদের গলিতে প্রবেশ করে স্যানিটাইজেশন করতে হবে না। বাঁচবে সময়ও। 


ঠিক কী ব্যবহার করা হচ্ছে স্যানিটাইজ করতে? সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইটের নির্দিষ্ট মাত্রার মিশ্রণ ব্যবহার করা হচ্ছে স্যানিটাইজেশন প্রক্রিয়ায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিধি অনুসারে ৫০০০ পিপিএম সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট মিশ্রণ দিয়ে স্যানিটাইজ করা উচিত্। এই প্রক্রিয়ায় স্যানিটাইজেশনের মাধ্যমে করোনাভাইরাস নষ্ট করা সম্ভব। 


মোট ৪৩ টি স্থানে প্রাথমিক পর্যায়ে স্যানিটাইজেশনের প্রক্রিয়ায় জোর দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। পরবর্তী পর্যায়ে সংখ্যা বাড়লে সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দিল্লিতে মোট করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ১,১৭৬ জন। এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন ২৪ জন। চিকিত্সায় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ২৭ জন।