শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপে স্থিতাবস্থা, দোলের দিনই বসন্ত উৎসব বিশ্বভারতীতে
সূত্রের খবর, যদিও দোলের দিন এই উৎসব করার আর্জি জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে একটি চিঠি দিয়েছেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব আশা মুখোপাধ্যায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপে কাটল জটিলতা। দোলের দিনই বিশ্বভারতীতে হতে চলেছে বসন্তোত্সব। রাজ্য সরকার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে। শুক্রবার উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অফিসে বৈঠক হয়। এরপরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রজাতন্ত্র দিবসে রাজ্যজুড়ে বাড়তি সতর্কতা, নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করতে তৎপর পুলিস
গত বছর উৎসবের সময় বিশৃঙ্খলার সাক্ষী থেকেছিল শান্তিনিকেতন। সেই অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করেই দোলের দিনেই উত্সব পালনে আপত্তি তোলে বিশ্বভারতীর একাংশ। তার প্রেক্ষিতে এ বছর দোলের আগেই বসন্তোৎসব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তবে শিক্ষামন্ত্রী নিরাপত্তা নিয়ে আশ্বাস দিতেই কেটে গেল সমস্যা। উত্সব নিয়ে কর্তৃপক্ষের তরফে ৬ জনের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সূত্রের খবর, শীঘ্রই কমিটির সদস্য, বিশ্বভারতীর কোর্ট মেম্বার সুশোভন ব্যানার্জি শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন।
ক্যালেন্ডারের পাতায় এবছর দোল ১০ মার্চ। কিন্তু সেদিন আর এবার শান্তিনিকেতলে বসন্ত উৎসব হচ্ছে না বলেই জানিয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। জানানো হয়েছিল তার ২০ দিন আগেই এবার বসন্ত উৎসবের আয়োজন করতে চলেছেন তাঁরা। ১৮ ফেব্রুয়ারি হবে বসন্ত বন্দনা। তারপর দিন অর্থাৎ ১৯ তারিখে হবে বসন্ত উৎসব। আগের বৈঠকে ঐতিহ্যশালী বসন্ত উৎসব এবার নিজেদের মধ্যে করার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।
সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান বিশ্বভারতীর আশ্রমিক, অধ্যাপক থেকে সবাই। তবে শান্তিনিকেতনে পর্যটনের উপর এর যে বড় প্রভাবের আশঙ্কা করে বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন শান্তিনিকেতনের হোটেল ব্যবসায়ীরা। ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও।
আরও পড়ুন: আজব কাণ্ড! ATM মেশিন থেকে আপনা হতেই 'বেরিয়ে আসছে' কড়কড়ে ২০০০ টাকার নোট
সূত্রের খবর, যদিও দোলের দিন এই উৎসব করার আর্জি জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে একটি চিঠি দিয়েছেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব আশা মুখোপাধ্যায়। তাতে বলা হয়েছিল,বসন্ত উৎসবের দিন যে হারে ভিড় হয় সেই ভিড় সামলানোর ক্ষমতা নেই বিশ্বভারতীর। তাই রাজ্য সরকারের কাছে প্রশাসনিক সাহায্য চেয়েই এই চিঠি। এরপরই আশ্বাস মেলে শিক্ষামন্ত্রীর তরফে।