নিজস্ব প্রতিবেদন:  হাতির ভয় তো ছিলই, তার ওপর দোসর নেকড়ে। ইতিমধ্যেই  ৭ জন গ্রামবাসীর ওপর হামলা চালিয়েছে নেকড়ে। দিশেহারা ঝাড়গ্রামবাসী।  নেকড়ে ধরতে তত্পর বনদফতর। পাতা হয়েছে তিন খাঁচা। কিন্তু এখনও অধরা নেকড়ে। রাতের ঘুম ছুটছে গ্রামবাসীদের, চিন্তিত বনকর্মীরাও।  গত কয়েকদিন ধরে ঝাড়গ্রামের সাপধরা অঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রামে নেকড় হানা দিচ্ছে বলে খবর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রথম নেকড়ের আক্রমণের খবর আসে শিমুলডাঙা গ্রাম থেকে। মালিনি মাহাতো নামে ওই গ্রামের বাসিন্দা উঠোন ঝাড় দেওয়ার সময় নেকড়ের মুখে পড়েন।  ওই নেকড়েটি মাসাংডির জঙ্গল থেকে এসেছিল বলে মনে করছেন বনকর্মীরা।  তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন আত্মীয় ধীরেন মাহাতও। তাঁকেও কামড় দেয় নেকড়েটি। 


আরও পড়ুন: বেআইনি সম্পত্তি রয়েছে তৃণমূলের ২৫ মন্ত্রী-বিধায়কের, আয়কর দফতরে অভিযোগ সুজনের


এরপর  কুন্ডলডি, ডোলকাট, ধোবাধবিন, রাজপাড়া, দুবরাজপুর লাগোয়া জঙ্গলে ঘুরে বেড়াচ্ছে নেকড়েটি। দুদিন আগে  কুন্ডলডিতে বকুল মাহাত নামে আরও একজনকে আক্রমণ করে। পশরো গ্রামেও আহত হন একজন। আহতদের ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মালিনির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে মেদিনীপুর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।


আরও পড়ুন: “গুজব রটানো হচ্ছে, বিকাশরঞ্জনবাবু মুকুল রায়ের হয়ে কোনও মামলা লড়ছেন না”


নেকড়ে ধরতে বনদফতরের তরফে তিনটি খাঁচা পাতা হয়েছে। প্রত্যেক খাঁচায় মুরগি-র টোপ রাখা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ধরা পড়েনি নেকড়েটি। ঝাড়গ্রামের ডিএফও বাসবরাজ হলৈচের নেতৃত্বে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চলছে। কয়েকটি এলাকায় নেকড়ের পায়ের ছাপ পাওয়া গিয়েছে।  আরও খাঁচা আনা হবে বলে জানিয়েছেন বন আধিকারিক।