নিজস্ব প্রতিবেদন : বিষধর সাপের ছোবল খাওয়া রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বদলে নিয়ে যাওয়া হল ওঝার বাড়িতে। চলল ঝাড়ফুঁক। গাছের শিকড়-বাকড় খাইয়ে বাঁচানোর চেষ্টা! কিন্তু শেষপর্যন্ত সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়। কোনও তুকতাকই কাজে আসে না। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয় মহিলার। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মৃতার নাম ডলি মালিক। কালনার ঝেড়ো গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন ডলি। বুধবার সন্ধ্যায় বাড়িতেই রুটি করছিলেন ডলি। সেইসময়ই হঠাত্ হাতে ছোবল মারে বিষধর সাপ। ডলি মালিকের ডান হাতে ছোবল মারে সাপটি। চিত্কার করে ওঠেন ডলি। তাঁর চিত্কার শুনে ছুটে আসেন বাড়ির লোকেরা।


আরও পড়ুন, কড়াইতে 'কষা মাংস', স্বামীর অপেক্ষায় এখনও বসে ২ মাসের বিবাহিতা স্ত্রী


সাপে কেটেছে বুঝতে পেরেই হাতে শক্ত করে বাঁধন বেঁধে দেন তাঁরা। তারপরই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বদলে মোটর সাইকেলে চাপিয়ে ডলি মালিককে নিয়ে ওঝার বাড়িতে হাজির হন আত্মীয়রা। সেখানেই চলে ঝাঁড়ফুক। তারপর শিকড়-বাকড় খাইয়ে বাড়িতে ফেত পাঠিয়ে দেওয়া হয় ডলিকে।


এরপর যত সময় গড়ায় ততই অবনতি ডলি মালিকের স্বাস্থ্যের অবনতি হতে থাকে। শেষমেশ তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কালনা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। কালনা হাসপাতালের চিকিত্সকরা ডলি মালিককে মৃত বলে ঘোষণা করেন।


আরও পড়ুন, ২ পাতার লম্বা সুইসাইড নোট লিখে নিজেকে নির্মমভাবে শেষ করে দিল কলেজছাত্রী


পুলিস ও চিকিত্সকরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে। তাঁদের স্পষ্ট বক্তব্য, শুধুমাত্র সচেতনতার অভাবে সঠিক চিকিত্সা না পাওয়ার কারণেই মৃত্যু হয়েছে ডলি মালিকের। প্রসঙ্গত, এখনও এরাজ্যের কোণায় কোণায় জাঁকিয়ে বসে রয়েছে অন্ধবিশ্বাস।


বাঁকুড়ায় সারেঙ্গায় এরকমই একটি ঘটনা ঘটে মঙ্গলবার। ২ বছর আগে মৃত শিশুপুত্রকে বাঁচিয়ে তুলতে কবর খুঁড়ে সন্তানের দেহ বের করার চেষ্টা করা হয়। ওঝা, গুণিন, তান্ত্রিকের উপস্থিতিতে চলে পুজো-অর্চনা। পরে পুলিস এসে এই ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করে। আরও পড়ুন, কবর খুঁড়ে বের করলেই 'বেঁচে উঠবে' মৃত সন্তান!