নিজস্ব প্রতিবেদন: সাপের ছোবলের পর ওঝার 'কেরামতি'! হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও আর শেষরক্ষা হল না। উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায় ফের কুংসস্কারের বলি গৃহবধূ। চিকিৎসকের দাবি, ওঝার কাছে না গিয়ে হাসপাতালে আনলে বাঁচানো যেত! ঘটনাকে কেন্দ্র চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, মৃতের নাম মামুদা বিবি। বাড়ি, দেগঙ্গার শ্বেতপুর এলাকায়। গতকাল অর্থাৎ বুধবার গভীর রাতে বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় তাঁর হাতে ছোবল মারে একটি বিষধর সাপ। হাসপাতালে নয়, গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মামুদাকে ওঝার কাছে নিয়ে যান পরিবারের লোকেরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে ঝাঁড়ফুক! এরপর বাড়িতে নিয়ে আসা হয় ওই গৃহবধূকে। ওঝা আশ্বাস দিয়েছিলেন, দু'তিন দিনের মধ্যে ধীরে ধরীরে সুস্থ হয়ে উঠবেন! কিন্তু তা তো হয়ইনি, উল্টে শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটতে থাকে। মামুদা বিবিকে এবার নিয়ে যাওয়া হয় বারাসত হাসপাতালে। চিকিৎসাও শুরু হয়েছিল। কিন্তু রোগীকে আর বাঁচানো যায়নি। ভর্তি হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যান তিনি। 


আরও পড়ুন: Canning: ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে পুলিস হেফাজত, ছাড়া পেয়েই গৃহবধূর পরিবারের ৬ জনকে কোপাল যুবক


মাস খানেক আগেও একই ঘটনা ঘটেছিল দেগঙ্গায়। সেবার বেড়াচাঁপা এলাকায় পুকুর মাছ ধরার যুবককে ছোবল মারে সাপ। হাসপাতাল কিংবা স্বাস্থ্যকেন্দ্র নয়, ওই যুবককে সটান ওঝার বাড়িতে হাজির হন পরিবারের লোকেরা। সেখানে দীর্ঘক্ষণ ধরে ঝাঁড়ফুক চলে বলে অভিযোগ। ঝাড়ফুক চলাকালীন যথারীতি শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে। এতটাই অবনতি হয় যে, শেষপর্যন্ত সাপে কামড়ানো যুবককে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান পরিবারের লোকেরা, কিন্তু তাঁকে বাঁচানো যায়নি। সেই ঘটনার পরেও হুঁশ ফিরল না!


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)