বিধান সরকার: চুঁচুড়া বিধানসভার যে সব এলাকায় গত লোকসভা ভোটে হারতে হয়েছে তৃণমূলকে সেইসব এলাকায় হারের কারণ খুঁজতে জনসংযোগ শুরু করেছেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে মানুষের অভাব অভিযোগ শুনছেন। বাসিন্দারা তাদের না পাওয়ার কথা যেমন জানাচ্ছেন তেমনি ক্ষোভের কথাও জানাচ্ছেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-অসম সীমান্তে ভারতে ঢুকে মন্দির মেরামতির কাজ রুখে দিল বিজিবি


গতকাল চুঁচুড়া পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের পদ্ম পার্ক এলাকায় জনসংযোগে যান বিধায়ক। সেখানে এক মহিলা বিধায়কের হাত ধরে টেনে নিয়ে গিয়ে চলাচলের অযোগ্য ভাঙ্গা রাস্তা দেখিয়ে সেই রাস্তা সংস্কার করে দিতে বলেন।


শনিবার কোদালিয়ার নলডাঙ্গা এলাকায় জনসংযোগে মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছান বিধায়ক। সেখানেই বৃদ্ধা লিপিকা চৌধুরী তাকে বলেন, স্বামীর বার্ধক্যভাতার জন্য বারবার ঘুরছি কিন্তু পাইনি। পাঁচবার আবেদন করেছিলাম। ছবারে তালিকায় নাম এসেছে। একবার ১০০০ টাকা একাউন্টে ঢুকল। ভাবলাম ভাতা চালু হয়েছে। তারপর ব্যাংকে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানলাম সেই টাকা স্থানীয় এক তৃণমূলের কর্মী একাউন্টে দিয়েছে। সরকারি ভাতার টাকা আমার একাউন্টে ঢোকেনি। পরে শুনতে পেলাম অনেকের অ্যাকাউন্টেই এক হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছিল। সেই টাকা আমরা তুলে তাকে ফেরত দিয়ে দিই। বিধায়ককে সেই কথা বললাম। বিধায়ক শুনে বললেন আপনাদের ভাতা চালু হলেই পেয়ে যাবেন। এটা বিধায়কের সান্তনা বুঝতে পেরেই তার চিবুক ছুঁয়ে আদর করেছি। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক গ্রামবাসীকে বলতে শোনা যায় সব সময় তো ক্ষোভ দেখিয়ে হয় না একটু ভালোবেসেও বলতে হয়।


বিধায়ক বলেন, লোকসভা ভোটে চুঁচুড়ায় পিছিয়ে পড়েছিলাম। সেই পিছিয়ে পড়ার কারণ খুঁজতে স্থানীয় নেতৃত্বকে নিয়ে মানুষের বাড়িতে যাচ্ছি। সরকারি প্রকল্পের বিভিন্ন ভাতা দেওয়া হচ্ছে। যাদের বাকি আছে তাদেরও অনেক ভাতা ছাড়া হয়েছে। তাও কেন পিছিয়ে পড়লাম সেটাই অনুসন্ধান করার জন্য মানুষের কাছে যাচ্ছি। তাদের যে অভাব অভিযোগ আছে সেটা শুনছি। ২০১১ সালের আগে অনেক রাস্তা ছিল না। অনেক কাজ হয়েছে। যেসব জায়গায় অসুবিধা আছে সেগুলোও আমরা দেখছি।



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)