নিজস্ব প্রতিবেদন:  ইলেকট্রিক শক দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে গোপনাঙ্গে ছুরি ঠেকিয়ে গৃহবধূকে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরির কৃষ্ণনগর মোহাটি এলাকায়।  মহরম বলে অভিযোগ নিতে অস্বীকার পুলিসের, পাল্টা দাবি নির্যাতিতার পরিবারের। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



 নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, মঙ্গলবার তিনি বাড়ির সামনে পুকুরে স্নান করছিলেন। ঘর ফাঁকাই ছিল। তাঁর স্বামী পৌরহিত্য করেন, ঘটনার সময়ে কাজের সূত্রেই বাড়ির বাইরে ছিলেন তিনি। অভিযোগ, নির্যাতিতা ঘরে ঢুকে দেখেন এক যুবক আগে থেকেই খাটের ওপর বসে রয়েছে। ওই যুবক প্রথমে গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দেয়। তাতে রাজি না হওয়ায় গৃহবধূর ওপর চড়াও হয় সে।


গৃহবধূর অভিযোগ, তাঁর মুখে কাপড় গুঁজে দেয় ওই যুবক। এরপর গোপনাঙ্গে ছুরি ঠেকিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে। শুধু তাই নয়, ইলেকট্রিক শক দিয়ে তাঁকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় সে।


ছেলেধরা সন্দেহে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে গাছে বেঁধে গণপিটুনি!


নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, ধর্ষণের পর নিজেই দরজা খুলে ঘর থেকে বেরিয়ে যায় ওই যুবক। কিছুক্ষণ বাদে স্বামী এলে গোটা বিষয়টি জানান তিনি। প্রথমে তাঁরা লজ্জায় আত্মঘাতী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু তাঁদের কথা শুনে ফেলেন প্রতিবেশী এক মহিলা। তিনিই গ্রামবাসীদের ডেকে আনেন। এরপর খেজুরি থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যান তাঁরা। কিন্তু মহরম বলে পুলিসও অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে বলে দাবি পরিবারের। প্রতিবেশীদের কথায় নির্যাতিতা ও তাঁর স্বামী আইনজীবীর দ্বারস্থ হন। এরপর অতিরিক্ত পুলিস সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা।


এপ্রসঙ্গে হেঁড়িয়ার আইসি দীপক চক্রবর্তী বলছেন, "ওঁরা এখানে আসেননি খেজুরি থানায় গিয়েছিলেন। আমাকে ফোন করেছিলেন। আমি বলেছিলাম, অভিযোগ লিখে আনতে।"  অন্যদিকে খেজুরির থানার ওসি গোপাল পাঠক আবার বিষয়টিই অস্বীকার করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, "এরকম কোনও অভিযোগ থানা আসেনি। অভিযোগ এলে নিশ্চয়ই তা নেওয়া হত।"  যদিও নির্যাতিতার আইনজীবীর বক্তব্য, মহরম বলে অভিযোগ নিতেই অস্বীকার করেছে পুলিস। পরে তাঁরা এসিপির কাছে যান। তারপর তদন্ত শুরু হয়। ঘটনায় জেলা সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্টর পক্ষেও তোড়জোড় শুরু করা হয়েছে।