নিজস্ব প্রতিবেদন:  ঝোপের মধ্যে থেকে বেরিয়েছিল পা। তা দেখেই সন্দেহ হয়েছিল বনকর্মীদের। কিছুটা উঁকি দিতেই গা গুলিয়ে ওঠে তাঁদের। মাথায় একাংশ থেঁতলে গিয়েছে। পরনের সুতো মাত্র নেই। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল নগ্ন ওই মহিলাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। কিন্তু মাল মহকুমার তালঘেরার এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে আরও ভয়াবহ ঘটনা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: আত্মহত্যার শ্যুটিং করতে গিয়েই ট্রেনের ধাক্কায় মৃত ২ ছাত্র


মঙ্গলবার সকালে টহলদারীর সময়ে তারঘেরা জঙ্গলের ৪ নম্বর কম্পার্টমেন্টে ওই মহিলার দেহ পড়ে থাকতে দেখেন বনকর্মীরা। খবর দেওয়া হয় বন আধিকারিক ও পুলিসকে। আপাত দৃষ্টিতে মহিলাকে দেখে মনে হয়েছিল যৌন নির্যাতিনের শিকার হয়েছিলেন তিনি। তারপর প্রমাণ লোপাট করতে খুন করা হয় তাঁকে। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই ভুল ভাঙে বন আধিকারিক ও পুলিসের। জঙ্গলের বুনো হাতির পায়ের ছাপ লক্ষ্য করা যায়। মহিলার মাথার একাংশ যেভাবে থেঁতলে গিয়েছে,  সেটিও কোনও মানুষের পক্ষে করা সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। মনে করা হচ্ছে, জঙ্গলের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়ে বুনো হাতির সামনে পড়েছিলেন ওই মহিলা।


আরও পড়ুন: হাতি-মানুষের দূরত্ব বজায় রাখতে নতুন প্র‌যুক্তির সাহা‌য্য নিতে চলেছে বনদফতর


পালানোর আগেই বুনো হাতির পাল আছড়ে মারে তাঁকে। ধস্তাধস্তিতে পোশাকও ছিঁড়ে যায় তাঁর। দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু মুখ ও মাথা থেঁতলে যাওয়ায় এখনও দেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।