পিয়ালী মিত্র: করোনা আতঙ্কে যখন কার্যত লকডাউন চলছে, তখন ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল সবকিছু! মন্দারমণির উপকূল লাগোয়া কোনও হোটেল ও রিসর্টই আর অক্ষত নেই। মাথায় হাত পর্যটন ব্যবসায়ীদের। কর্মীদের বেতন-হোটেল মেরামতির টাকা, আসবে কোথা থেকে? ভেবে পাচ্ছেন না তাঁরা। এখন ভরসা বলতে সরকারি সাহায্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আট চল্লিশ ঘণ্টারও বেশি সময় অতিক্রান্ত। ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের তাণ্ডবে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হল বাংলায়? সেই চিত্রটা এবার পরিষ্কার হচ্ছে ধীরে ধীরে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রাথমিক হিসেবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১৫ হাজার কোটি টাকা। তবে, দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করার পর প্রকৃত অবস্থাটা বোঝা যাবে। এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর ও উত্তর চব্বিশ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জে গিয়ে প্রশাসন বৈঠক করেছেন তিনি। ঘোষণা করেছেন, দুয়ারে সরকার প্রকল্পে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্তদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে ক্ষতিপূরণে টাকা। বার্তা দিয়েছেন, ত্রাণ নিয়ে কোনওরকম কাপর্ণ্য করা চলবে না। এমনকী, কলাইকুণ্ডায় গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ানও তুলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে, থাকছেন না রিভিউ মিটিং-এ।   



আরও পড়ুন: Yaas-এ ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য 'দুয়ারে ত্রাণ'; কোন ক্ষেত্রে মিলবে কত টাকা, জানিয়ে দিল সরকার


মন্দারমণির কী অবস্থা? সেখানকার সমুদ্র উপকূল লাগোয়া এলাকায় হোটেল ও রিসর্টের সংখ্যা দেড়শো। ঘুর্ণিঝড়ে ঝড়ে ৯০ শতাংশ হোটেল ও রির্সট ভেঙে গোটা এলাকা ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। খাতায়-কলমে লকডাউন না হলেও, করোনা সতর্কতায় রাজ্যে এখন বিধিনিষেধের কড়াকড়ি চলছে। ফলে পর্যটকদের দেখা নেই মন্দারমনিতে। তার উপর এই বিপুল ক্ষতির ধাক্কায় বেসামাল পর্যটন ব্যবসা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকারি সাহায্য ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। 


এদিকে মন্দিরমনি সোনাই, সেলামপুরের মতো একাধিক গ্রাম থেকে জল নামেনি এখনও। উল্টে জোয়ার জলে বিপদে আশঙ্কায় জিনিসপত্র নিয়ে অন্য জায়গায় চলে যাচ্ছেন অনেকেই। এলাকায় ঠিক ত্রাণও আসছে না বলে অভিযোগ।