নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে একযোগে তৃণমূল, কংগ্রেস ও বামেদের আক্রমণ করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তাঁর দাবি, বাংলার অখণ্ডতা রক্ষা করার কৃতিত্ব একমাত্র শ্যামপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 


জনসংঘের প্রতিষ্ঠাতা ওই নেতার জন্যই মুর্শিদাবাদ পশ্চিমবঙ্গের অংশ হতে পেরেছে বলেই তিনি দাবি করেছেন। তাঁর কথায়, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় না থাকলে মুর্শিদাবাদ বাংলাদেশে চলে যেত।


আরও পড়ুন: প্রথম দু'দাফায় উঠেছে গেরুয়া ঝড়, শাহকে পাঁচে চারের আশ্বাস দিলেন দিলীপরা


তাঁর অভিযোগ, এ রাজ্যে কংগ্রেস ক্ষমতায় থেকেছে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। বামেরা ও তৃণমূল একই কাজ করেছে। ফলে বাংলা ক্রমশ বেকারত্ব ও দারিদ্রের দিকে এগিয়েছে। বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রকৃত নেতৃত্বের অভাব ছিল বলেই তাঁর দাবি।


যোগী আদিত্যনাথ সোমবার বাংলায় ম্যারাথন প্রচারে এসেছেন। শুরুতেই তিনি জনসভা করেছেন উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয়। ওই সভা থেকেই তিনি সোজা চলে যান বহরমপুরে। বনগাঁর সভায় তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন। তৃণমূল বাংলার উন্নয়নে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।


আরও পড়ুন: বিজেপির অভিযোগের ভিত্তিতেই সরল বীজপুরের আইসি


কিন্তু বহরমপুরে অনুপ্রবেশ নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করেন। তাঁর অভিযোগ, রাজনৈতিক ফায়দার জন্য বাংলায় অনুপ্রবেশ রুখতে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। গরিবদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়।


তাঁর দাবি, বিজেপি বিরোধী সরকার যে রাজ্যে থাকে, সেখানেই ধর্মাচরণ নিয়ে বিভেদমূলক আচরণ দেখা যায়। পশ্চিমবঙ্গেও সেই ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে। এ রাজ্যে দুর্গাপুজোয় শাঁখ, ঘণ্টা বাজাতে সরকার বাধা দেয় বলে তাঁর অভিযোগ।


আরও পড়ুন: তৃণমূল কংগ্রেসই বাংলার উন্নয়নে সবচেয়ে বড় বাধা, অভিযোগ যোগীর


তাঁর বক্তব্য, উত্তরপ্রদেশেও এমন অবস্থা ছিল। কিন্তু দুবছর ধরে উত্তরপ্রদেশের অবস্থা বদলেছে। ধর্মাচরণে কারও কোনও সমস্যা হয় না।


তাঁর দাবি, নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হলে ভারতের সুরক্ষা আরও শক্তিশালী হবে। তাই তিনি বাংলার মানুষকেও মোদীর পক্ষেই ভোট দিতে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।


আরও পড়ুন: আমি যেখানে যাচ্ছি, হতাশায় তার পিছু পিছুই সভা করছেন মমতা: অমিত শাহ


এর পর তিনি পূর্ব বর্ধমানে জনসভা করবেন। সেখান থেকে তিনি চলে যাবেন হুগলিতে। সেখানেই তিনি এদিনের শেষ নির্বাচনী জনসভাটি করবেন।


বাংলায় পা রাখার আগেই অবশ্য সোমবার সকালে দুটি ট্যুইট করে যোগী আক্রমণ করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রসকে। ট্যুইটারে লিখেছিলেন, এবার হিংসা ও দুর্নীতির রাজনীতিকে ছুঁড়ে ফেলুন। আর নরেন্দ্র মোদীকে ভোট দিন।