করোনার থাবায় প্রতিভাবান ফুটবলার এখন সবজি বিক্রেতা, তবে আজও স্বপ্ন দেখে দীপ
জার্সি বুট তুলে রেখে দীপকে হাতে তুলে নিতে হয়েছে দাঁড়িপাল্লা। রাস্তার পাশে সবজি বিক্রি করে এখন সংসার চালাতে হচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা শুধু জনজীবন স্তব্ধ করে দেয়নি। ভেঙে চুরমার করে দিচ্ছে অসংখ্য স্বপ্ন । যার জ্বলন্ত উদাহরণ দীপ বাগ । ফুটবলই ধ্যান-জ্ঞান কোন্নগর বাঞ্ছারামপুরের দীপ বাগের। প্রতিভা আর মনের জোরে সুযোগ করে নিয়েছিল মোহনবাগান অনূর্ধ্ব ১৯ দলে। দুর্গাপুরের মোহনবাগান ফুটবল অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণের সুযোগও পেয়েছিল । মাসিক ১ হাজার টাকা ভাতাও পাচ্ছিল দীপ। আস্তে আস্তে স্বপ্নের সাগরে ভাসতে শুরু করেছিল কোন্ননগরের দীপ। কিন্তু করোনা নামক ভাইরাস দীপের স্বপ্নকে যেন কার্যত চুরমার করে দিয়েছে।
প্রতিভাবান ফুটবলারের জীবন এখন বইছে এক হালবিহীন জাহাজের মত। দীপের লড়াই এখন মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বী কোনও দলের সঙ্গে নয় । লড়াই চালাতে হচ্ছে ফুটপাতে বসে । লকডাউনের জেরে বন্ধ হয়েছে অ্যাকাডেমি। মিলছে না ভাতার টাকা । ফুটবল খেলতে গেলে শারীরিক ক্ষমতা লাগে। ক্ষমতা বাড়াতে লাগে ভালো খাবার । যা এই মুহূর্তে জুটছে না দীপের। লকডাউনে বাবার রিকশা চালানো বন্ধ । এছাড়া বাবার বয়সও হয়েছে। তাই জার্সি বুট তুলে রেখে দীপকে হাতে তুলে নিতে হয়েছে দাঁড়িপাল্লা। কোন্নগরে রাস্তার পাশে সবজি বিক্রি করে এখন সংসার চালাতে হচ্ছে এই উঠতি ফুটবলারকে।
তবে একটা প্রবাদ বাক্য আছে না “ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভাঙে “, দীপের অবস্থা এখন সেরকম । পরিস্থিতির শিকার হয়ে সবজি বিক্রেতা হলেও ফুটবলের প্রতি তাঁর ভালোবাসা অটুট । তাই রোজ সকালে পাইকারি বাজারে যাওয়ার আগে নিয়ম করে ফুটবল অনুশীলন করে দীপ। সে মনে করে একদিন লকডাউন উঠবেই। লকডাউন উঠবে তাঁর জীবন থেকেও। সেদিনের জন্য অপেক্ষা করে যাচ্ছে সে। প্রতিপক্ষের আক্রমণ রুখে সবুজ ঘাসে দাপিয়ে বেড়াবেন থিঁয়াগো সিলভা আর সার্গিও র্যানমোসের ভক্ত দীপ বাগ।
আরও পড়ুন, প্রশাসনের ভুলে দেড় ঘন্টা বন্ধ নৈহাটি-চুঁচুড়া ফেরিসার্ভিস , নাকাল কয়েকশো যাত্রী