নিজস্ব প্রতিবেদন : কথায় আছে, 'চুরি বিদ্যা মহাবিদ্যা, যদি না পড় ধরা!' কিন্তু, চুরি তো পরের কথা, চুরির নতুন কায়দা-কৌশল রপ্ত করতে গিয়েই হাতেনাতে ধরা পড়ে গেল এক দাগী চোর। পলাতক সঙ্গী। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির এই ঘটনা সামনে আসতেই তাজ্জব পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চুরি করে তেমন 'আয়' হচ্ছিল না। রোজগারপাতি কীভাবে বাড়ানো যায়, তা নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই ফন্দি ফিকির খুঁজছিল দুই দাগী চোর। শেষমেশ স্থির করে বেশি রোজগারের জন্য এবার সাইবার অপরাধ জগতের খাতায় নাম লেখাবে তারা। কিন্তু, সাইবার ক্রাইম করার কোনও 'পূর্ব অভিজ্ঞতা' নেই। এদিকে দুম করে ময়দানে নেমে পড়া যায় না। হাতে কলমে আগাম অভ্যাস করে নেওয়া ভালো! যেমন ভাবা তেমন কাজ।


আরও পড়ুন, ট্রাকের নীচে 'দাগ'! বালি খুঁড়তেই যা বেরিয়ে এল, চমকে উঠল গ্রামবাসী


অনেক ভাবনাচিন্তার পর দুই দাগী চোর কাঁথির একটি সাইবার ক্যাফেতে গিয়ে হাজির হয়। ক্যাফেতে এসেই ব্যস্ততা শুরু করে দেয় একজন। ১৫০০০ টাকা অনলাইনে ট্রান্সফার করতে হবে বলে তাগাদা দিতে থাকে ক্যাফে মালিককে। ক্যাফে মালিকও নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে ১৫০০০ টাকা পাঠিয়ে দেন। সেই টাকা মিটিয়েও দেয় চোর। এরপর আধঘণ্টা পর আবার ওই ক্যাফেতে ফিরে আসে অভিযুক্তরা। এবারও ক্যাফে মালিককে ১৫,০০০ টাকা ট্রান্সফার করার জন্য বলে তারা। ক্যাফে মালিকও এবার নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেয়।


কিন্তু, এবার যখন ক্যাফে মালিক টাকা চান, তখন অভিযুক্ত যুবকরা বলে, টাকা তাদের কাছে নেই। তৃতীয় একজন নিয়ে আসছে। ইতিমধ্যে দুই চোরের একজন দোকান থেকে পালিয়ে যায়। বিষয়টা সন্দেহজনক বলে মনে হয় দোকানদারের। দোকানে অপেক্ষারত যুবকের উপর নজরদারি শুরু করেন তিনি। ঘণ্টাখানেক গড়িয়ে যাওয়ার পরেও, কেউ টাকা নিয়ে দোকানে ফেরত না আসলে, ওই যুবককে চেপে ধরেন ক্যাফে মালিক। ফোন করে ডেকে আনতে বলেন পলাতক যুবককে।


আরও পড়ুন, পর্যটকবোঝাই এসি ডিলাক্স বাসের ডিকি খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ! বেরিয়ে পড়ল 'আসল' জিনিস


ওই যুবককে চেপে ধরতেই ফাঁস হয় গোটা ছকটি। আটক যুবক জানায়, তখন জানায় যে অপর যুবকটি তার ভাই। সে পালিয়ে গিয়েছে। এরপরই ক্যাফে মালিক পুলিস ডেকে অভিযুক্ত যুবককে ধরিয়ে দেন। পুলিস জানিয়েছে, জেরায় তাদের টাকা হাতানোর পরিককল্পনার কথা কবুল করে অভিযুক্ত। অভিনব এই জালিয়াতির ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। সব জেনে ভড়কে গিয়েছেন ক্যাফে মালিকও।