নিজস্ব প্রতিবেদন: স্ত্রীর হাতে প্রকাশ্যে নিগৃহীত হয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হলেন যুবক। ঘটনা পূর্ব বর্ধমানের কালনার মাতিস্বর গ্রামের। মৃতের নাম বাবলু ঘোষ। বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছিল তাঁর। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শ্বশুরবাড়িতে নিগ্রহের জেরে বধূর আত্মহত্যার খবর নিয়মিত মেলে। কিন্তু এবার ঘটল উলটোটা। স্ত্রীর হাতে নিগ্রহের শিকার স্বামী বেছে নিলেন আত্মহত্যার পথ। ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার দুপুরে। বর্ধমান আদালতে পলাশ ঘোষের বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছিল। সেই মামলায় আদালতে হাজিরা দেওয়ার পর ট্রেন ধরার জন্য বর্ধমান স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিলেন পলাশবাবু। তখনই জুতো দিয়ে তাঁকে মারধর শুরু করেন স্ত্রী পায়েল। স্ত্রীর বাপের বাড়ির লোকেরাও তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ। এমনকী, স্থানীয় জনতার হাতেও নিগৃহীত হন পলাশ ঘোষ ও তাঁর বাড়ির লোকেরা। জিআরপি এসে তাদের উদ্ধার করে। 


NRS-এ ৫ বছরের শিশুকে কুকুরের হামলা, রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করলেন প্রত্যক্ষদর্শীরাই


প্রকাশ্যে এমন অপমান সহ্য করতে পারেননি পলাশবাবু। রাতে বাড়ি ফিরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। সকালে ঘর থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। উদ্ধার হয় একটি সুইসাইড নোট। তাতে অপমানেই আত্মঘাতী বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। 


পলাশবাবুর পরিজনরা জানিয়েছেন, আদালতের বিবাদের জেরে স্টেশনে পলাশকে মারধর শুরু করে পায়েল। এমনকী পলাশের বৃদ্ধ বাবা - মা তাঁকে বাঁচাতে গেলে তাদেরও আক্রমণ করে সে। জুতো দিয়ে সবার সামনে নিগ্রহ করে পলাশকে। 


পড়শিরা জানিয়েছেন, বছর পাঁচেক আগে পূর্ব বর্ধমানের মেমারির চোটকুন্ড গ্রামের বাবলু ঘোষের মেয়ে পায়েল ঘোষের সাথে বিয়ে হয় কালনার মাতিস্বর গ্রামের অনিল ঘোষের ছেলে পলাশের। সুখেই সংসার করছিল তারা। তাদের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে।  হঠাত্ সংসারে ছন্দপতন শুরু হয় ২ বছর আগে। পূর্ব বর্ধমান মহিলা থানায় বধূ নির্যাতনের অভিযোগ করেন পলাশের স্ত্রী পায়েল ঘোষ। পাল্টা বার্ধমান কোর্টে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেন পলাশ।