বৌদি বলেছিলেন জানিয়ে দেবে সব কথা, ভয়েই আত্মঘাতী প্রেমিক ‘দেওর’
বছর উনিশের যুবক শিবনাথ নস্কর। স্কুল ফাইনালের পর আর পড়াশোনা করেননি তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: টোটো নিয়ে প্রতিদিন তাঁর বাড়ির সামনে দিয়েই যেতেন। বেশ কয়েকবার সেই টোটোতে উঠেওছিলেন মহিলা। সেই থেকেই পরিচয়। টোটোয় চেপে ঘুরতে ঘুরতেই গাঢ় হতে থাকে সম্পর্কের রং। বন্ধুত্ব বদলে যায় ভালোবাসায়। সময়ের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ হতে থাকে সম্পর্ক। টোটোচালকের সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কেও লিপ্ত হন প্রতিবেশী ‘বৌদি’। কিন্তু ‘বৌদি’র ভালোবাসা যে আসলে ছিল প্রতারণা, তা বুঝতে দেরি হয়নি যুবকের। জানতে পেরেছিলেন, ভালোবেসে যাঁর সঙ্গে অন্তঃরঙ্গ মুহূর্ত কাটিয়েছেন, তিনি আসলে তাঁকে ফাঁসানোর জন্যই এ কাজ করেছেন। নিজেকে শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন যুবক। মঙ্গলবার নিজের বাড়িতেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলার দক্ষিণ গনিপুরে এক যুবকের আত্মহত্যার ঘটনার নেপথ্যে উঠে এল মর্মান্তিক সত্য।
আরও পড়ুন: জেলাশাসকের দফতরে মাটিতে বসে সরকারি কর্মী, প্রশ্ন করতেই যা জানালেন...সরকারি দফতরে এমনও হয়!
বছর উনিশের যুবক শিবনাথ নস্কর। স্কুল ফাইনালের পর আর পড়াশোনা করেননি তিনি। দিদিমার কিনে দেওয়া টোটো চালিয়েই পরিবারের পাঁচ সদস্যের মুখে অন্ন তুলে দিতেন। মাস তিনেক আগে দক্ষিণ গনিপুরেরই বাসিন্দা বনিতা নামে এক মহিলার সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। প্রথমে আর পাঁচ জন সাধারণ যাত্রীর মতো বনিতাও ছিল শিবনাথের টোটোর যাত্রী। টোটোয় যাতায়াতের সূত্র ধরেই বনিতার সঙ্গে প্রেম হয় শিবনাথের।
বনিতার সঙ্গে প্রেমের কথা পরিবারের কয়েকজন সদস্যকে জানিয়েছিলেন শিবনাথ। বেশ কয়েকবার তাঁদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও তৈরি হয়। কিন্তু পরিবারের অভিযোগ, ইদানীং বনিতা নানাভাবে শিবনাথকে ব্ল্যাকমেল করতে থাকে। বেশ কয়েকবার তাঁর কাছ থেকে টাকাও নিয়েছেন বনিতা। প্রতি মুহূর্তে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকেন বনিতা।
আরও পড়ুন: শিক্ষিকার বাড়ি জানলা দিয়ে উঁকি দিতেই প্রতিবেশী ভাড়াটে যুবককে যে অবস্থায় দেখলেন...
ইদানীং এই বিষয়টি নিয়ে দুজনের সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে। মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন শিবনাথ। তাঁর কথাবার্তায় বিষয়টি জানতে পেরেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। শিবনাথকে একাধিকবার বোঝানোরও চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু কোনও কিছুই যে কাজে আসে নি, তার প্রমাণ মিলল মঙ্গলবার।
সোমবার রাতে খাবার পর নিজের ঘরে চলে গিয়েছিলেন শিবনাথ। মঙ্গলবার সকালে দীর্ঘক্ষণ ডাকার পরও তাঁর সাড়া মিলছিল না। পরে দরজা খুলে পরিবারের সদস্যরা দেখেন, গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন শিবনাথ। বিষয়টি মহেশতলা থানায় জানানো হয়। পুলিস গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
সোমবার রাতে খাবার পর নিজের ঘরে চলে গিয়েছিলেন শিবনাথ। মঙ্গলবার সকালে দীর্ঘক্ষণ ডাকার পরও তাঁর সাড়া মিলছিল না। পরে দরজা খুলে পরিবারের সদস্যরা দেখেন, গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন শিবনাথ। বিষয়টি মহেশতলা থানায় জানানো হয়। পুলিস গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।