নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রেমিকের সঙ্গে স্ত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেছিল স্বামী। আর তারপরই প্রেমিকের হাত, পা, মুণ্ডু কেটে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত দম্পতিকে আটক করেছে পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বুধবার সকালে মধ্যমগ্রামের নোয়া খালের ধার থেকে এক যুবকের হাত, পা, মুণ্ডুহীন দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের নাম হাসান আলি। বয়স ৩০। প্রসঙ্গত, মঙ্গবার থেকেই নিখোঁজ ছিল হাসান আলি। তাঁর খোঁজে মধ্যমগ্রাম থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছিল পরিবার। রাতভর নিখোঁজ হাসান আলির খোঁজে তল্লাশি চালায় পুলিস। তারপর আজ সকালে তাঁর মুণ্ডুহীন দেহ উদ্ধার হয়।


আরও পড়ুন, ফের 'ধর্ষণ' করে খুন বীরভূমে! মিলল আদিবাসী কিশোরীর ক্ষতবিক্ষত দেহ


খুনের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেই পুলিসের হাতে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস জানতে পারে, প্রতিবেশী হাসান আলির সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন এলাকার গৃহবধূ অরজিনা। আর একথা জানার পরই হাসান আলিকে খুনের ঘটনায় পুলিসের সন্দেহের তির গিয়ে পড়ে অরজিনা ও তাঁর স্বামীর উপর। আটক করা হয় দম্পতিকে।


পুলিস জানিয়েছে, প্রতিবেশী হাসান আলির সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন গৃহবধূ অরজিনা। স্বামীর নজর এড়িয়ে বেশ কিছুদিন ধরে সেই সম্পর্ক চালিয়ে নিয়ে যান অরজিনা। কিন্তু, সম্পর্কের কথা চাপা থাকেনি অরজিনার স্বামীর কাছে। পরশুদিন আচমকা ঘরে ঢুকে, প্রেমিক হাসান আলির সঙ্গে স্ত্রী অরজিনাকে আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে ধরে ফেলেন অরজিনার স্বামী।


আরও পড়ুন, বাড়ির অমতে প্রেম, বিয়ের ২ মাসে 'পুড়ে খাক' যুবতীর 'সুখের সংসারের স্বপ্ন'


অভিযোগ, তারপরই ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাসান আলিকে কুপিয়ে খুন করে অরজিনার স্বামী। দেহ লোপাট করতে স্বামীর সঙ্গে হাত লাগান অরজিনাও। দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলা হয়। তারপর হাত, পা, মুণ্ডুহীন দেহ নোয়া কালের ধারে ফেলে আসে দম্পতি। জেরায় দম্পতি খুনের কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিস।