নিজস্ব প্রতিবেদন : কথা বলতে বলতে মনোমালিন্য। তার থেকে বচসা। আর তারপরই প্রেমিকাকে উদ্দেশ করে সোজা গুলি চালিয়ে দিল প্রেমিক। প্রেমিকের গুলিতে মৃত্যু হল অষ্টাদশী প্রেমিকার। ভয়ঙ্কর এই ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মৃতার নাম বিদিশা মণ্ডল। বয়স ১৮ বছর। নদীয়ার শিকারপুরের বাসিন্দা বিদিশা করিমপুর পার্নাদেবী কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। অন্যদিকে অভিযুক্ত প্রেমিকের নাম অলীক কর্মকার। বয়স ২৫ বছর। মুর্শিদাবাদের জলঙ্গির সাগরপাড়া এলাকার বাসিন্দা অলীক। জানা গিয়েছে, মেয়েটির দিদির ৮ মাস আগে বিয়ে হয়। দিদির বিয়ের সময়ই জামাইবাবুর বন্ধু অলীক কর্মকারের সঙ্গে আলাপ হয় অষ্টাদশী বিদিশার। তারপর থেকেই দুজনের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ে। সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে দুজনে। ধীরে ধীরে সম্পর্ক গভীর হয়।


আরও পড়ুন, বিয়ের ৬ মাসেই খুন গৃহবধূ, বদলায় শ্বশুরঘরেই কবর দিয়ে দেওয়াল তুলে দিলেন মৃতার আত্মীয়রা


কিন্তু, সম্প্রতি সম্পর্কে সমস্যা দেখা দেয়। সম্পর্কের পরিণতি নিয়ে মনোমালিন্য দেখা দেয় দুজনের মধ্যে। সোনার কাজ করত অলীক। আর্থিক অস্বচ্ছলতার জন্য সম্পর্কে আপত্তি জানিয়েছিল বিদিশার জামাইবাবু। বন্ধু অলীককে সতর্কও করেছিলেন তিনি। আর তা থেকেও সমস্যার সূত্রপাত। বিদিশাও অলীককে জানিয়েছিল, আর্থিক কারণে বাড়িতে তাদের সম্পর্ক কোনওভাবেই মেনে নেবে না। বিয়েতে আপত্তি করবে। এই নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি চলছিল।


এরপরই এদিন সম্পর্কের পরিণতি নিয়ে চূড়ান্ত ফয়সলা করার জন্য বিদিশাকে দেখা করতে বলে অলীক। প্রেমিকের কথা শুনে দেখা করতে রাজিও হয়ে যায় বিদিশা। অলীকের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর রাস্তার ধারে বসে কথা বলছিল তরুণী। তখনই বিদিশার কাছে অলীক শেষবারের মতো জানতে চায়, বিদিশা তাকে বিয়ে করবে কি না? বিদিশা উত্তরে না বলতেই, মেজাজ হারায় অলীক। পকেট থেকে পিস্তল বের করে সোজা প্রেমিকা বিদিশাকে গুলি করে সে।


আরও পড়ুন, বালিতে চলন্ত ট্রেনে 'আগুন'! প্রাণভয়ে লাইনে ঝাঁপ যাত্রীদের


গুলি লাগে বিদিশার ডান কানের নীচে। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে সে। গুলির আওয়াজ শুনে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই তরুণীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁরাই। সেখানেই মৃত্যু হয় বিদিশার। অন্যদিকে, অভিযুক্ত অলীককেও ধরে ফেলে গণধোলাই দেয় জনতা। মারের চোটে গুরুতর আহত হয়েছে অলীকও। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিতসাধীন অলীক।