নিজস্ব প্রতিবেদন: হাঁসফাসানি গরমের পর অবশেষে রাজ্যে ঢুকছে বর্ষা। গরমের কষ্ট থেকে শান্তি পাওয়া গেলেও, বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি মালিকদের কপালে পরে চিন্তার ভাঁজ। বৃষ্টির জল কাদায় বাহনের যেমন ক্ষতি হয়, তেমনই তা আরোহীর পক্ষে ভীষণ বিপদজনক। আর শহরের বিভিন্ন অংশে অল্প বৃষ্টিতেই জমে হাঁটু-জল। তা ছাড়া রাস্তাঘাটে খানাখন্দের সমস্যা তো আছেই। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  বাল্ক মেসেজ পাঠালে এ বার আইনি পদক্ষেপ নিতে পারে Whatsapp!



কিন্তু তাই বলে তো আর বর্ষায় গাড়ি ঘরে ফেলে রাখা যায় না। তবে কিছু সহজ জিনিসের দিকে নজর রাখলেই এড়াতে পারবেন বর্ষাজনিত সমস্যা।  
বর্ষায় দু'চাকা/চারচাকা ঠিক রাখতে কি কি করা উচিত?


১) অনেকেই মনে করেন বর্ষায় গাড়ি সার্ভিস করিয়ে লাভ নেই। বর্ষা কাটার পরে একেবারে সার্ভিসিং করান। কিন্তু ততদিনে যা ক্ষতি হওয়ার তা হয়ে যায়। বর্ষার জল কাদা জমে যেতে  পারে গাড়ির তলার দিকের বিভিন্ন অংশে। এর ফলে গাড়ির ক্ষতি হয়। চেষ্টা করুন গাড়ি নিয়মিত সার্ভিস করানোর। পারলে নিজেই মুছে পরিস্কার রাখার চেষ্টা করুন। 
২) একে বর্ষা তার উপর রাস্তার করুণ হাল। পিচ্ছিল রাস্তায় যে কোনও সময় পিছলে যেতে পারে গাড়ির চাকা। তাই নিয়মিত লক্ষ্য রাখুন টায়ার-এর অবস্থার দিকে। পুরানো টায়ার নিয়মিত বদল করুন। 
৩) টায়ারের পাশাপাশি নজর রাখুন ব্রেক-এর দিকে। ভেজা রাস্তায় ব্রেকের কার্যকারিতা কমে যায়। তাই বাইক বা গাড়ির ব্রেক নিয়মিত পরীক্ষা করুন। নির্দিষ্ট সময় অন্তর ব্রেক শু বদল করুন। 
৪) বর্ষায় বাইকের চেন-এ দিকে খেয়াল রাখুন। লক্ষ্য রাখুন যাতে বাইক-এর চেন-এ কাদা জমে না থাকে। নিয়মিত লুব্রিকেট করুন চেন।
৫) জল-কাদা ও বাতাসের অতিরিক্ত আর্দ্রতার কারণে বর্ষায় বাইকের এয়ার ফিল্টার ব্লক হয়ে যেতে পারে। চেষ্টা করুন ফিল্টার-টি শুকনো ও পরিষ্কার রাখার। 
৬. আপনার বাইক বা গাড়ি যতটা সম্ভব বৃষ্টি থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করুন। খোলায় জায়গায় পার্কিং করা এড়িয়ে চলুন। 
৭. বর্ষায় রাস্তাঘাটের অবস্থা এমনিই খারাপ থাকে। তার উপর যদি আলোর অভাবে রাস্তা দেখাই না যায়, তা হলে তা দ্বিগুণ বিপদজনক হয়ে যায়। তাই বের হওয়ার আগে দেখে নিন গাড়ির সব লাইট ঠিকঠাক কাজ করছে কিনা।
৮. বিপদ কখনও বলে আসে না। তাই সবরকম সাবধানতা সত্ত্বেও সাবধানতা অবলম্বন করুন। দু'চাকা চালালে হেলমেট অবশ্যই পড়ুন। আপডেট রাখুন আপনার বাহনের বিমার কাগজপত্রও।