ওয়েব ডেস্ক: আপেলের প্রথম কামড়ে মানুষের জীবনযাত্রা পাল্টে গিয়েছিল। কিন্তু চার দশক আগে দ্বিতীয় কামড়ে ঘটে যায় বিপ্লব। ভাবনার বিপ্লব। টেকনোলজির বিপ্লব। তারপর মানুষের জীবনযাত্রায় এমন চাকচিক্য চলে এল, এখন পচ্ছন্দটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। অ্যাপেল যার হাতে, তার হাত তো দামই, কিন্তু এই অ্যাপেল বাজারে আসার পিছনে স্টিভ জোবস ছাড়া আর কার কার হাত আছে জানেন কী? ওঁরা না থাকলে স্টিভ জোবস হয়ত বিখ্যাত হতেন না, অ্যাপেল শব্দটাও হয়ত এখনও মাতৃগর্ভেই রয়েই যেত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১ এপ্রিল, ১৯৭৬ অ্যাপেলের জন্মদিন। সেদিন একমাত্র অ্যাপেল কোম্পানি বিশ্বকে এপ্রিলফুল না করে দিয়েছিল চমকপ্রদ উপহার। আর সেইদিন স্টিভ জোবস ছাড়াও আর ৯ জন কর্মচারীর আনন্দে, গর্বে ষোলোআনা বুক চওড়া হয়েছিল।


১) Steve Wozniak, টেকনিক্যাল এক্সপার্ট-



১৯৭১ তে স্টিভ জোবস ও স্টিভ ওজনিয়াক কাজ করতেন HP কোম্পানিতে। সেখানে কর্মসূত্রে পরিচয় তাঁদের। ১৯৭৬ ওজনিয়াক অ্যাপেল ওয়ান তৈরি পরিকল্পনা করেন। তিনি হার্ডওয়ার, সার্কিটবোর্ড ও অ্যাপেলের অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করে ফেলেন। এরপর জোবস অ্যাপেল ওয়ান নামে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন।


২) Steve Jobs, প্রাক্তন সিইও ও সহ প্রতিষ্ঠাতা-



অ্যাপেলের আর এক নাম স্টিভ জোবস বললে হয়ত খুব একটা ভুল বলা হবে না। অ্যাপেলের মার্কেটিং, প্যাকেজিংয়ের মাস্টার মাইন্ড তাঁর মস্তিস্কপ্রসূত থেকেই বলাবাহুল্য। অ্যাপেল লঞ্চ হওয়ার পর সেদিন বিশ্বকে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছিলেন, প্রোডাক্ট কীভাবে বেচতে হয়। ওজানিয়াক কম্পিউটার তৈরি করে জোবসকে দেখালে সেদিনই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এই প্রোডাক্টকে বেচতে হবে। যত দিন গেছে অ্যাপেল নতুনত্ব প্রোডাক্ট বার করেছে কিন্তু তাঁর ছ্ত্রছায়ায় সেই অ্যাপেলের স্বাদ অমৃতে পরিণত হয়েছে। চার বছর আগে তিনি চলে গিয়েছেন, কিন্তু আজও অ্যাপেল মানে স্টিভ জোবস বলেই চেনে গুগল দুনিয়া।


৩) Mike Markkulla, দ্য মানি ম্যান-



প্রথম অ্যাপেল প্রকাশে অর্থ জোগান দিয়েছিলেন যে ব্যক্তি তিনি হলেন মাইক মারক্কুলা জুনিয়র। ওজনায়েক, প্রথম ও দ্বিতীয় অ্যাপেল প্রতিষ্ঠাতা, তাঁর সমস্ত সৃষ্টি মাইকের নামে উত্‍সর্গ করেন কারণ, মাইক না থাকলে অ্যাপেলকে বাজারে আনা সম্ভব ছিল না। সেই সময় তিনি বিনিয়োগ করেছিলেন প্রায় দেড় কোটি টাকা। কোম্পানির ৩০ শতাংশ শেয়ার ছিল মাইক মারক্কুলার নামে।


৪) Bill Fernandez, অ্যাপেলের প্রথম কর্মচারী-



স্টিভ ওজনায়েকের বন্ধু ও প্রতিবেশী ছিলেন বিল ফার্নানডেজ। ১৯৯৩ পর্যন্ত তিনি অ্যাপেলের সুখ-দুঃখের সঙ্গী ছিলেন।


৫) Rod Holt, বিজ্ঞানী-



সুইচিং পাওয়ার সাপ্লাই আবিষ্কার করেছিলেন হল্ট। অত্যাধুনিক কম্পিউটারে তাঁর এই আবিষ্কার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পরে তিনি অ্যাপেল ফুলটাইম কর্মচারি হয়ে কাজ করেন। অ্যাপেল টু-র বেশি সময় চিফ ইঞ্জিনিয়ার ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে যুক্ত ছিলেন তিনি। ফ্লপি ডিস্ক, সুইচিং পাওয়ার সাপ্লাই, রেডিও ইন্টারফারেন্স সমস্যা যেকোনও ক্ষেত্রে তাঁর ভুমিকা অনস্বীকার্য।


৬) Randy Wigginton, সফ্টওয়ার ইঞ্জিনিয়ার-



স্টিভ ওজনিয়াকের সহযোগী হয়ে কাজ করেছেন র‍্যান্ডি উইগিনটন। অ্যাপেল টু-র জন্য ওজনিয়াকের সঙ্গে সার্কিট ডিজাইন, রম সফ্টওয়ার তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন র‍্যান্ডি। একাধিক প্রোগ্রামসও লিখেছেন।


৭) Michael Scott, অ্যাপেলের প্রথম সিইও-



বাজারে অ্যাপেলের অস্তিত্ব থাকবে যতদিন, ততদিনই মাইকেল স্কটের নামও স্বর্ণাক্ষরে থাকবে। কারণ, তিনি ছিলেন প্রথম অ্যাপেল কোম্পানির সিইও। ১৯৭৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯৮১ মার্চ পর্যন্ত তিনি ছিলেন অ্যাপেলের প্রথম মানুষ।


৮) Chris Espinosa, সবচেয়ে কনিষ্ঠ কর্মচারি-



মাত্র ১৪ বছর বয়সে এসপিনোসা অ্যাপেলের হয়ে কাজ করেন। তিনি বেসিক প্রোগ্রামস লেখেন। সারা জীবন বিভিন্ন পদে অ্যাপেলের সঙ্গে কাটিয়েছেন ক্রিস এসপিনোসা।


৯) Sherry Livingston, প্রথম সিইওর ডান হাত-



তিনি হলেন অ্যাপেলের প্রথম সেক্রেটারি। মাইকেল স্কট তাঁকে নিযুক্ত করেন। সফ্টওয়ার, হার্ডওয়ার সংক্রান্ত ছাড়া সমস্ত রকম কাজ সামলাতে হত তাঁকে।


১০) Gary Martin, কর্মচারি-



 এই নামটি না বললে হয়তো অ্যাপেলের প্রথম দশ কর্মচারির বৃত্ত পূর্ণ হবে না। ১৯৮৩ পর্যন্ত তিনি অ্যাপেল ওয়ান ও টু-র সমস্ত রকম কাজে নিযুক্ত ছিলেন।