TOI-270 d: উল্লসিত পৃথিবী! ফুটন্ত জলের সমুদ্র নিয়ে মহাকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে নতুন এক গ্রহ...
Waterworld with a Boiling Ocean: যেগুলিকে পরিভাষায় `এক্সোপ্লানেট` বলে-- সেই রকমই এক গ্রহের সন্ধান পেয়ে রীতিমতো উল্লসিত বিজ্ঞানীরা। কারণ, সেখানে গভীর একটি সমুদ্র থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত পেয়েছেন তাঁরা। জল যদি থাকে, তবে প্রাণ কি খুব দূরে থাকতে পারে?
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দীর্ঘদিন ধরেই পৃথিবীর বাইরে বাসযোগ্য কোনো স্থানের খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। আর সেই প্রক্রিয়ার মধ্যে থেকেই সম্প্রতি জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, তাঁরা সৌরজগতের বাইরের একটি গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন! দূরবর্তী এই গ্রহটির-- যেগুলিকে পরিভাষায় 'এক্সোপ্লানেট' বলে-- সন্ধান পেয়ে রীতিমতো উল্লসিত বিজ্ঞানীরা। কারণ, সেখানে গভীর একটি সমুদ্র থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত পেয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: Russia: পুতিনের মুকুটে 'চাঁদে'র পালক! এবার চাঁদে পরমাণুকেন্দ্র; আমেরিকা কেন ভয় পাচ্ছে?
সমুদ্রে আচ্ছাদিত নতুন এই এক্সোপ্লানেট তথা বহির্গ্রহটির সন্ধান তাঁদের এই চেষ্টাকে আরও এগিয়ে দেবে বলেই মনে করছে ব্রিটেনের ওই গবেষকদল। তাঁরা মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ ব্যবহার করে এই পর্যবেক্ষণ করেছেন।
পর্যবেক্ষণে কী দেখেছেন তাঁরা?
'আওয়ার সোলার সিস্টেম' বা আমাদের সৌরজগতের বাইরের ওই গ্রহটির বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্প, মিথেন ও কার্বন ডাই-অক্সাইডের নমুনা পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি তাঁদের। এক্সোপ্লানেটটির নাম 'টিওআই-২৭০ ডি'। গ্রহটির আকার পৃথিবীর ব্যাসার্ধের দ্বিগুণ। এটি পৃথিবী থেকে ৭০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। গবেষকেরা বলছেন, তাঁরা যে রাসায়নিকের মিশ্রণ পর্যবেক্ষণ করেছেন, তা জলের অস্তিত্বের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সেখানে রয়েছে হাইড্রোজেনসমৃদ্ধ বায়ুমণ্ডল। আর সব থেকে যা চিত্তাকর্ষক তা হল, গ্রহ জুড়ে বিস্তৃত রয়েছে এক গভীর সমুদ্র!
জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের তথ্য বিশ্লেষণ করে তাঁরা ওই সমুদ্র সম্পর্কে এক দারুণ তথ্য সরবরাহ করেছেন। তাঁরা বলছেন, ওই গ্রহে যে সমুদ্র আছে তার জল ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার চেয়েও বেশি উষ্ণ হতে পারে! মানে, তখন সেটা আর তরল অবস্থায় না থেকে বাষ্প হয়ে পড়ার উপক্রম। তবে বাষ্প হয় না, কারণ বায়ুমণ্ডলীয় চাপ। সেখানে বায়ুমণ্ডলীয় চাপ অনেক বেশি থাকায় এই মহাসাগর তরল অবস্থায় থাকতে পারে! ফলে, ওই গ্রহ বসবাসযোগ্য কি না, তা এখনই খুব জোর দিয়ে স্পষ্ট করে বলা সম্ভব হচ্ছে না বিজ্ঞানীদের পক্ষে।
কানাডার এক দল বিজ্ঞানী এই এক্সোপ্লানেটটি নিয়ে আরও পর্যবেক্ষণ করেছেন। তাঁরা কোথাও কোথাও ব্রিটেনের বিজ্ঞানীদের সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করেছেন। তাঁদের যুক্তি, তরল জলের পক্ষে এক্সোপ্লানেটটি অনেক বেশি উষ্ণ। তাঁরা বলছেন, সেখানকার পৃষ্ঠ পাথুরে হতে পারে, এর বায়ুমণ্ডলে ঘন হাইড্রোজেন ও জলীয় বাষ্প থাকতে পারে।