নিজস্ব প্রতিবেদন : এমনিতেই রুশ অ্যাপ ফেসঅ্যাপের বিরুদ্ধে উঠছে তথ্য চুরির অভিযোগ। এবার গোদের উপর বিষ ফোঁড়া। বিশ্বজুড়ে অগুনতি স্মার্টফোনে ছড়িয়ে পড়ছে ফেসঅ্যাপের হুবহু নকল অ্যাপ। ব্যবহারকারীর অজান্তেই ডিভাইসে ইনস্টল হয়ে যাচ্ছে ক্ষতিকর মোবিড্যাশ অ্যাডওয়ার। সম্প্রতি সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা ক্যাস্পারস্কাই এই তথ্য প্রকাশ করে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একের পর এক ম্যালওয়ার ও ভুয়ো অ্যাপের অভিযোগে জেরবার গুগল প্লে স্টোর। চলতি মাসেই জানা যায় বিশ্বের প্রায় ২.৫ কোটি ফোনে ছড়িয়ে এজেন্ট স্মিথ নামের ভয়ঙ্কর ম্যালওয়ার। গত সপ্তাহেই ম্যালওয়ার থাকার অভিযোগে ১৬ টি অ্যাপ সরিয়ে দেওয়া হয় গুগল প্লে স্টো থেকে। এবার ফেসঅ্যাপের হুবহু নকল অ্যাপ ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বজুড়ে ব্যবহারকারীদের স্মার্টফোনে। 


বিশেষজ্ঞদের মতে ভুয়ো এই অ্যাপ দেখতে ফেসঅ্যাপের মতোই। ফেসঅ্যাপের মোবিড্যাশ  ক্যাস্পারস্কাই-এর বিশেষজ্ঞ ইগর গভোলিন বললেন, "এই ভুয়ো সংস্করণের আড়ালে লুকিয়ে অ্যাডওয়ার মডিউল। ফলে ব্যবহারকারীদের ফোনে নজরদারী চালাচ্ছে এই অ্যাপ। এমনকি বার বার ডিভাইসে বিরক্তিকর বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে স্মার্টফোনের ক্ষতিও করতে পারে এই ভুয়ো অ্যাপ।"


আরও পড়ুন : সোমবার দুপুরে উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত চন্দ্রযান, জানাল ইসরো


ফেসঅ্যাপের জনপ্রিয়তা দেখে প্রায় একই ধরনের প্রচুর অ্যাপের ছড়াছড়়ি বিভিন্ন অ্যাপের স্টোরে। তবে, সেই অ্যাপগুলি কতটা সুরক্ষিত, তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপেল  স্টোর ছাড়া অন্য কোনও স্থান থেকে  অ্যাপ ডাউনলোড করা নৈব নৈব চ। ফেসবুকের বিজ্ঞাপন বা হোয়াটস্যাপে আসা লিঙ্ক থেকে কোনও অ্যাপ ডাউনলোডও না করাই ভাল। কোনও অ্যাপ ইনস্টল করার আগে ভালো করে শর্তাবলী পড়ে নেওয়া প্রয়োজন। 


রুশ অ্যাপ ফেসঅ্যাপের জনপ্রিয়তা এখন বিশ্বে তুঙ্গে। ২০১৭ সালে গুগল প্লে স্টোরে প্রকাশ হওয়ার পরেই জনপ্রিয়তা পায় এই অ্যাপ। বিগত কয়েক মাসে সেলেব্রেটিদের হাত ধরে এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়।  অ্যাপ ব্যবহার করে নিজেদের মুখের আদলকে বেশি বা কম বয়সের করে দেখে নিতে ব্যস্ত সকলেই। তবে, এর মধ্যেই বিপদের আশঙ্কা করছেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা। তাঁদের মতে রুশ সংস্থার বানানো এই অ্যাপটি ইনস্টল করার সময়ে শর্তাবলীগুলিতে সায় দেওয়ার মাধ্যমে বিপন্ন হচ্ছে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য। তা ছাড়া বিশ্বের কোটি কোটি ব্যবহারকারীর মুখের আদল স্ক্যান করার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ তথ্য চলে যাচ্ছে রুশ সংস্থার হাতে। বর্তমানে এই ব্যক্তিগত তথ্যগুলি কেবল বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হলেও পরবর্তীকালে এই তথ্য় কতটা সুরক্ষিত থাকবে তাই নিয়ে সন্দিহান সাইবার বিশেষজ্ঞরা।