দুর্ঘটনার পর খোলা গেল না হেলমেট, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মৃত্যু স্পোর্টসবাইকারের
দুর্ঘটনার পর শত চেষ্টাতেও খুলল না হেলমেট। অবশেষে হেলমেট কেটে বার করলেন চিকিত্সকরা। যদিও ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে চালকের। ঘটনাটি রাজস্থানের জয়পুরের। বুধবার ওই দুর্ঘটনায় মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় স্পোর্টসবাইকার রোহিত সিং শেখাওয়াতের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দুর্ঘটনার পর শত চেষ্টাতেও খুলল না হেলমেট। অবশেষে হেলমেট কেটে বার করলেন চিকিত্সকরা। যদিও ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে চালকের। ঘটনাটি রাজস্থানের জয়পুরের। বুধবার ওই দুর্ঘটনায় মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় স্পোর্টসবাইকার রোহিত সিং শেখাওয়াতের।
দুর্ঘটনার সময় একটি কাওয়াসাকি জেড এক্স - ১০ আর চালাচ্ছিলেন রোহিত। ২২ লক্ষ টাকা দামের এই স্পোর্টসবাইকের সর্বোচ্চ গতি ৩০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। জয়পুরের কাছে একটি রাস্তায় ঝড়ের গতিতে মোটরবাইকটিকে ছোটাচ্ছিলেন তিনি। তখনই তার সামনে এসে পড়েন এক ব্যক্তি। ভারসাম্য হারিয়ে প্রথমে ওই ব্যক্তিকে ও পরে ডিভাইডারে ধাক্কা মারেন রোহিত। প্রায় ৫০ ফুট দূরে ছিটকে পড়েন তিনি।
রোহিতের মাথায় ছিল ৫০,০০০ টাকা দামের বিদেশি হেলমেট। দুর্ঘটনার পর সেই হেলমেট খুলে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন স্থানীয়রা। কিন্তু শত চেষ্টাতেও হেলমেট খোলেনি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে ফিতে কেটে হেলমেট খোলেন চিকিত্সকরা। ততক্ষণে যদিও রোহিতের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন - তথ্যপ্রমাণ পর্যাপ্ত নয়, জাকির নাইককে ক্লিনচিট ইন্টারপোলের
চিকিত্সকরা জানিয়েছেন মস্তিষ্কে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই মৃত্যু হয়েছে রোহিতের। বাইকের ধাক্কায় আহত অন্য ব্যক্তির অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দামি ওই হেলমেটের অভ্যন্তরীন অংশ বিশেষ এক ধরণের পদার্থ দিয়ে তৈরি। এর জেরে দ্রুতগতিতে বাইক ছোটালেও হেলমেট মাথার ওপর ন়ডাচড়া করে না। এই হেলমেট খোলারও নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে। তা কেউ না জানাতেই ঘটেছে এই বিপত্তি।