নিজস্ব প্রতিবেদন: আরও বিপাকে মার্কিন বিমান নির্মাতা সংস্থা Boeing. সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, তাদের তৈরি প্রায় ৩৭০টি Boeing 737 Max বিমানকে ফের উড়ান উপযোগী করে তুলতে ৩ বছর সময় চায় তারা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



অক্টোবর ও মার্চে পর পর ২টি 737 Max বিমান ভেঙে পড়ার পর Boeing এর ওই বিমানের উড়ান নিষিদ্ধ করেছে বিশ্বের প্রায় সব দেশ। তদন্তে উঠে এসেছে, বিমান বিক্রি করার জন্য বছরের পর বছর জেনে বুঝে একের পর এক মিথ্যে বলে গিয়েছে বিমান নির্মাতা সংস্থাটি। এমনকী গত অক্টোবরে মালেশিয়ার লায়ন এয়ারের বিমান দুর্ঘটনার পরও থামেনি সেই ধারা। 


বোয়িং-এর সাম্প্রতিকতম মিথ্যে ধরা পড়েছে ২ মার্কিন সেনেটরের চিঠিতে। মার্কিন সেনেটর পিটার ডিফাজিও ও রিক লারসেন Boeing ও মার্কিন অসামরিক বিমান পরিবহন দফতরের কাছে সম্প্রতি জবাবদিহি তলব করেন। তারা জানতে চান, কেন ত্রুটিপূর্ণ অ্যালার্ম সিস্টেম সম্পর্কে সব তথ্য থাকা সত্বেও ১ বছর ধরে তা চেপে রেখেছিল বোয়িং? 


ওদিকে বোয়িংয়ের তরফে জানানো হয়েছে, যে ত্রুটিপূর্ণ সেন্সরের জন্য দুর্ঘটনাগুলি ঘটেছে তা ঠিক করতে কাজ করছে তারা। নতুন প্রযুক্তিতে সেন্সর ত্রুটিপূর্ণ সংকেত দিলে বিমানের ককপিটে বাজতে থাকবে অ্যালার্ম। তবে একাজ প্রথমে হবে নতুন বিমানগুলিতে। তার পর পুরনো বিমানে নবীকরণ করা হবে এই ব্যবস্থা। 


বোয়িংয়ের ওপর থেকে হাত তুলে নিয়েছে মার্কিন পাইলটদের সংগঠনও। তাদের দাবি, অক্টোবরে লায়ন এয়ার দুর্ঘটনার পর বোয়িং তাদের জানায়, ওই সেন্সরটি ত্রুটিপূর্ণ কি না তা জানার পর্যাপ্ত প্রযুক্তি রয়েছে ককপিটে। য়িংয়ের এই আশ্বাবোসের ভিত্তিতে 737 Max-কে উড়ানের জন্য নিরাপদ বলে ঘোষণা করে মার্কিন পাইলটদের সংগঠন। কিন্তু মার্চে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনসের দুর্ঘটনার পর জানা যায়, বোয়িংয়ের দাবি অসত্য। 


নির্দেশ মতো সব চেষ্টা করলেও রোখা যায়নি নিয়তি, ইথিওপিয়ান তদন্তে আরও বিপাকে বোয়িং


পর পর ২টি দুর্ঘটনার পর তুমুল চাপে রয়েছে বোয়িং। গোটা বিশ্ব তো বটেই, তাদের কাঠগড়ায় তুলেছে মার্কিন সংস্থাগুলিও। বিমানের এতবড় ত্রুটির কথা কেন তাঁদের জানানো হয়নি, জবাব চাইছেন মার্কিন পাইলটরাও।