চাঁদের আরও কাছাকাছি চন্দ্রযান-২, বাকি আর মাত্র এক ধাপ
আর মাত্র একবার জ্বলে উঠবে চন্দ্রযান-২-এর অর্বিটারের প্রপালসান সিস্টেম। তারপরেই চাঁদের একদম কাছে চলে যাবে চন্দ্রযান-২।
নিজস্ব প্রতিবেদন : আর মাত্র এক ধাপ। তারপরেই চাঁদের একদম কাছাকাছি পৌঁছে যাবে চন্দ্রযান-২। শুক্রবার চতূর্থবার কক্ষপথের দূরত্ব কমিয়েছে চন্দ্রযান-২। প্রায় ১১৫৫ সেকেন্ড ব্যাপি ম্যানুভারের মাধ্যমে চাঁদের আরও কাছে পৌঁছে গিয়েছে ভারতের দ্বিতীয় চন্দ্রযান। এর আগে ১৭৯x১৪১২ কিলোমিটার দূরত্বে কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করছিল চন্দ্রযান-২। শুক্রবারের ম্যানুভারের পর কমল সেই দূরত্ব। এখন ১২৪X১৬৪ কিলোমিটার দূরত্বে চাঁদকে প্রদক্ষিণ করছে চন্দ্রযান-২।
শুক্রবার টুইট করে চন্দ্রযান-২-এর সফল চতূর্থ লুনার বাউন্ড অরবিট ম্যানুভারের কথা জানায় ইসরো। ইসরো সূত্রে খবর, শুক্রবার ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ১৮ মিনিট নাগাদ লুনার বার্ন শুরু হয়। জ্বলে ওঠে প্রপালশান সিস্টেম। চাঁদের আরও কাছাকাছি এগিয়ে যায় চন্দ্রযান-২। ম্যানুভারের পরে চন্দ্রযান-২-এর যন্ত্রাংশ সুষ্ঠভাবে কাজ করছে বলে জানায় ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।
চলতি মাসে ১৪ তারিখ পৃথিবীর কক্ষপথ ছেড়ে চাঁদের কক্ষপথের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে চন্দ্রযান-২। প্রায় ৬ দিনব্যাপি ট্রান্স-লুনার ইন্সারসানের মাধ্যমে চাঁদের কক্ষপথের দিকে এগিয়ে যায় চন্দ্রযান-২। ইসরোর কাছে এটিই ছিলে অভিযানের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। ২০ অগস্ট পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছে যায় চন্দ্রযান-২। প্রবল উত্কন্ঠার ৬ দিনের পর বিজ্ঞানীদের হাততালিতে ফেটে পড়ে ইসরোর কন্ট্রোল রুম।
এরপর মোট ৫টি ধাপে চাঁদের থেকে দূরত্ব কমানোর পরিকল্পনা ছিল ইসরোর। পরিকল্পনামাফিক পর পর ৪টি লুনার বার্ন সম্পূর্ণ। আর মাত্র একবার জ্বলে উঠবে চন্দ্রযান-২-এর অর্বিটারের প্রপালসান সিস্টেম। তারপরেই চাঁদের একদম কাছে চলে যাবে চন্দ্রযান-২। আগামীকাল ১ সেপ্টেম্বর শেষ বারের মতো দূরত্ব কমাবে চন্দ্রযান-২। চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০০ কিলোমিটার দুরত্বে স্থাপন করা হবে অর্বিটারকে।
আরও পড়ুন : কালোর চেয়েও নাকি কালো! এ কোন রঙের গাড়ি আনছে বিএমডব্লিউ!
এর পরেই চন্দ্রযান-২-এর অর্বিটার থেকে বিছিন্ন হবে ল্যান্ডার বিক্রম। বিছিন্ন হওয়ার পর ৩০কিমি X ১০০কিমি কক্ষপথে চাঁদকে প্রদক্ষিণ করবে ল্যান্ডারটি। প্রদক্ষিণরত অবস্থায় চন্দ্রপৃষ্ঠের স্ক্যানিং করবে বিক্রম। সব কিছু ঠিক থাকলে ৭ সেপ্টেম্বর রাত ২টো ৫৮ মিনিটে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ল্যান্ড করবে বিক্রম। রকেটের মাধ্যমে ধীরে ধীরে চাঁদের মাটিতে নেমে আসবে বিক্রম। এর পরেই পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি বিচার করে বিক্রমের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসবে রোভার প্রজ্ঞান।