পূজা দাস: বর্তমানে ই-বর্জ্য( E-waste) সারা বিশ্বেই একটি বড় উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। ইলেকট্রনিক সরঞ্জামের(Electronic equipment) মধ্যে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক থাকে যেমন- সিসা, সিলিকন, টিন, ক্যাডমিয়াম, পারদ, দস্তা, প্রভৃতি। যা প্রকৃতিকে নানাভাবে দূষিত( pollution) করছে। এবং যার ফলে মানুষের শরীরে প্রবেশ করছে নানাবিধ রোগ। বাড়ছে রোগ ভোগের ঝুঁকিও। এইসমস্ত রাসায়নিক পর্দাথগুলির কারণে বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন গর্ভবতী মা ও শিশুরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Mobile Fast Charging tips: পুরনো ফোন-ফুরনো ব্যাটারি দ্রত চার্জ করার তিন উপায়...


সাম্প্রতিক বছরগুলিতে পরিবেশ কর্মীদের চিন্তার নতুন কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশ্বব্যাপী প্রচুর পরিমাণে ই-বর্জ্য। ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম নির্মাণে যে তুলনায় মূল্যবান ধাতু নষ্ট হয়, তা পরিবেশের উপর যথেষ্ট খারাপ প্রভাব ফেলে। এছাড়াও ইলেকট্রনিক তারের কপার নির্মাণে ব্যবহৃত কোবাল্টের ধাতু আসে খনি থেকে। ডিভাইসগুলি রিসাইকেল করা না হলে অথবা ডিভাইস নষ্ট হয়ে গেলে তা থেকে দামি ধাতু সংগ্রহ করার উদ্যোগ না থাকলে বর্জ্য হিসেবে নষ্ট হয় মূল্যবান ধাতুগুলি।
বিশ্বব্যাপী ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনাবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন ওয়েস্ট ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইকুইপমেন্ট (ডব্লিউইইই) ফোরাম জানিয়েছে, সব মিলিয়ে মোট ৫৩০ কোটি মোবাইল ফোন এই বছরই ই-বর্জ্যে পরিণত হবে। এর একটিকেও পুনর্ব্যবহার বা রিসাইকেল (recycle) করা যাবে না।


আরও পড়ুন: ফেসবুকে বিপুল সংখ্যক ফলোয়ার্স খোয়ালেন জুকারবার্গ নিজেই! অবাক Meta-প্রধান নিজেই



ডব্লিউইইই (WEEE) আরও জানিয়েছে, ওয়াশিং মেশিন থেকে শুরু করে ট্যাবলেট কম্পিউটার ও জিপিএস ডিভাইসের মতো ইলেকট্রনিক পণ্য থেকে সৃষ্ট পাহাড়প্রমাণ বর্জ্য আজ থেকে ৮ বছর বাদে অর্থাৎ, ২০৩০ সাল নাগাদ বেড়ে দাঁড়াবে সাত কোটি ৪০ লাখ টন।
বিভিন্ন ডেটা বিশ্লেষণ করে ই-বর্জ্যে পরিণত হওয়া বিপুল সংখ্যক ডিভাইসের এই সংখ্যা অনুমানের চেষ্টা করছে ডব্লিউইইই(WEEE) ফোরাম। নানান গবেষণায় উঠে এসেছে মোবাইল ফোনের মালিকদের অনেকেই পুরনো ডিভাইস রেখে দিচ্ছেন নিজের কাছে। রিসাইকেল করার বদলে দিনের পর দিন তাঁরা নিজের কাছেই ফেলে রেখে দিচ্ছেন সেই মোবাইল।


আরও পড়ুন: Instagram: দেশি ক্রিয়েটরদের বড় লাভ, রিলস বানিয়ে বড় রোজগারের সুযোগ ইনস্টায়!


ডব্লিউইইই-এর মহাপরিচালক প্যাসকেল লিরয় বলেন, “তুচ্ছ মনে হওয়া জিনিসগুলিরও যে যথেষ্ট মূল্য রয়েছে তা আস্তে আস্তে বুঝতে পারছেন মানুষ। এবং তাঁরা উপলব্ধী করছেন এই অকেজো জিনিসগুলি একযোগে ঘটাতে পারে বিশাল ঘটনা”
এক আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের কথায়, বিশ্বব্যাপী মানুষের হাতে এখন এক হাজার ছয়শ কোটি মোবাইল ফোন আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এবং এর মধ্যে ইউরোপের নাগরিকদের কাছে থাকা ডিভাইসগুলোর এক-তৃতীয়াংশই আর ব্যবহার না করে অকেজা অবস্থায় ফেলে রাখছেন তাঁরা। ফলে সমস্যা যে গুরুতর, তা বলাই বাহুল্য।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)