নিজস্ব প্রতিবেদন: মঙ্গলে প্রাণের সন্ধানে বড়সড় ধাক্কা খেল নাসার গবেষণা। সম্প্রতি ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভের গবেষণা প্রকাশ, মঙ্গলে জল আছে বলে দু'বছর আগে নাসা যে প্রমাণ দাখিল করেছিল তা সম্ভবত সঠিক নয়। ইউএসজিএস-এর দাবি, জলপ্রবাহের ফলে যে ভূপ্রাকৃতিক গঠন তৈরি হয়েছিল বলে নাসা দাবি করেছিল তা সম্ভবত তৈরি হয়েছে খুব মিহি বালুকণার প্রবাহের ফলে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মঙ্গলের কক্ষে থাকা নাসার যান মার্স রিকনিস্যান্স অরবিটারের পাঠানো ছবি বিশ্লেষণ করে ২ বছর আগে মার্কিন বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন, মঙ্গলের ভূপৃষ্ঠে জলের সন্ধান মিলেছে। মঙ্গলের খাদে যে প্রবাহের মতো গঠন দেখা গিয়েছে তাতে সিক্ত লবন রয়েছে বলে জানান তাঁরা। এর পরই মঙ্গলের পৃষ্ঠে প্রাণের সন্ধান মেলার সম্ভাবনা বেড়েছে বলে জল্পনা শুরু হয়।


আরও পড়ুন - নোটবাতিল, জিএসটি-র পর আয়কর আইনে বদলের ইঙ্গিত  


মঙ্গলের বিভিন্ন জায়গায় খাদ বেয়ে নামতে দেখা যায় এক রকম কালো ধারা। সেই ধারার গঠন ও চরিত্র বিশ্লেষণ করেই মঙ্গলের পৃষ্ঠে জলের উপস্থিতির কথা নিশ্চিত করেছিল নাসা। যদিও মার্কিন সংস্থা ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভের সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, জল নয়, ওই গঠন তৈরি হয়েছে অতিসুক্ষ্ম বালুকণার প্রবাহে।  যা খালি চোখে দেখে জলপ্রবাহ জনিত ভূমিরূপ বলেই মনে হয়। পৃথিবীতে জলপ্রবাহের দ্বারা গঠিত ভূমিরূপের সঙ্গে বেশ মিল রয়েছে ওই গঠনের। 


তবে সাম্প্রতিক এই ধাক্কার পরেও মঙ্গলে প্রাণ খুঁজে বার করতে হাল ছাড়তে রাজি নন গবেষকরা। লালগ্রহের নতুন এলাকায় প্রাণের খোঁজে মন দিয়েছেন তাঁরা।