নিজস্ব প্রতিবেদন: গত মাসে ২২ তারিখ চাঁদের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে চন্দ্রযান-২। আগামী ১৪ অগস্ট চাঁদকে প্রদক্ষিণ করার কক্ষপথে ঢুকে পড়বে ইসরোর দ্বিতীয় চন্দ্রযান। তার ঠিক দুই দিন আগে আজ, সোমবার ভারতীয় মহাকাশ গবেষণার জনক ডঃ বিক্রম সারাভাইয়ের ১০০তম জন্মদিনে শ্রদ্ধা জানাল গুগল। আজ গুগলের ডুডল সেজে উঠল বিক্রম সারাভাই ও ইসরোর রকেটে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উন্নয়নশীল ভারতে মহাকাশ অভিযানের গুরুত্ব বুঝেছিলেন বিক্রম সারাভাই। সেই সময়ে ভারতের সরকারকে মহাকাশ গবেষণায় লগ্নি করতে রাজি করানোর পেছনে ছিল তাঁর হাত। ভবিষ্যতে বিশ্ব মঞ্চে এগিয়ে থাকতে বিজ্ঞান চর্চায় এগিয়ে থাকার প্রয়োজনীয়তা বুঝেছিলেন তিনি। ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর স্থাপনের পেছনে প্রাণপুরুষ ছিলেন বিক্রম সারাভাই।


ঠিক ১০০ বছর আগে, ১৯১৯ সালের ১২ অগস্ট আহমেদাবাদের ধনী ব্যবসায়ী পরিবারে জন্ম বিক্রম সারাভাইয়ের। তাঁর বাবা আমবালাল সারাভাই ছিলেন গুজরাটের নামী শিল্পপতি। ছোট থেকেই বিজ্ঞানের প্রতি আকর্ষণ ছিল তাঁর। আহমেদাবাদের গুজরাট কলেজ থেকে বিজ্ঞান নিয়ে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেন। এর পর ব্রিটেনে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেন তিনি।


আরও পড়ুন: ঈদ-আল-আধা: আজ ত্যাগের উত্সবে সামিল হাজার হাজার মানুষ


পড়াশোনার শেষে বিদেশে চাকরি সুযোগ পেয়েও নেননি বিক্রম সারাভাই। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়েই ফিরে আসেন দেশে। ব্যাঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সে কসমিক রে নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। গবেষণায় তাঁর নির্দেশক ছিলেন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী সিভি রমন।


ডঃ হোমি জাহাঙ্গির ভাবা ও একাধিক বিজ্ঞানীর সাহায্যে এবং ভারত সরকারকে রাজি করানোর পর ১৯৬৩ সালে বিক্রম সারাভাইয়ের  নেতৃত্বে লঞ্চ হয় ইসরোর প্রথম রকেট।


এক সময়ে বাজেটের অভাবে গরুর গাড়ি ও সাইকেলে করে যন্ত্রাংশ বয়ে নিয়ে গিয়েছে ইসরো। সেই সীমিত অর্থেই ভারতের মহাকাশ গবেষণার ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন তিনি। ভারতের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহের নেপথ্যেও ছিল তাঁর নাম।


মহাকাশ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে কৃতিত্বের জন্য ও ১৯৬৬ সালে তাঁকে পদ্মভূষণের সম্মানে সম্মানিত করে ভারত সরকার। ১৯৭২ সালে পান পদ্মবিভূষণ।


ভারতের মহাকাশ গবেষণার জনককে ভুলে যায়নি ইসরো। তাঁকে সম্মান জানিয়ে চন্দ্রযান-২-এর ল্যান্ডারের নাম রাখা হয়েছে বিক্রম। তিরুবনন্তপুরমে দেখা তাঁর স্বপ্ন আজ ছুটে চলেছে চাঁদের পথে।