Total Solar Eclipse: গ্রহণ চলাকালীন সূর্যের উপর নজরদারি চালাল আদিত্য-এল১! কী অজানা আশ্চর্য জানা গেল?
ISROs Aditya-L1 on Total Solar Eclipse: ভারতের প্রেরিত সূর্যযান আদিত্য-এল১ গ্রহণপর্বে সূর্যের উপর চালাল বিশেষ নজরদারি। ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন তথা `ইসরো`র এই আদিত্য-এল১ স্বপ্নের প্রকল্প ভারতের মহাকাশবিজ্ঞানীদের কাছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভারতের প্রেরিত সূর্যযান আদিত্য-এল১ গ্রহণপর্বে সূর্যের উপর চালাল বিশেষ নজরদারি। ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন তথা 'ইসরো'র এই আদিত্য-এল১ স্বপ্নের প্রকল্প ভারতের মহাকাশবিজ্ঞানীদের কাছে। এই সূর্যগ্রহণ সেই প্রকল্পের কাছে নিয়ে এল নতুন সুযোগ। সূর্যগ্রহণ চলাকালীন আদিত্য-এল১ সূর্যকে বিশ্লেষণ করেছে। এ থেকে যে তথ্য বেরিয়ে আসবে, তা নিঃসন্দেহে সূর্য সম্বন্ধে বা সূর্যগ্রহণ সম্বন্ধে অনেক নতুন দরজা খুলে দেবে।
আরও পড়ুন: Obesity: কীভাবে বাঁচবেন ওবেসিটি-দৈত্যের হাত থেকে? দিশা দেখাল কর্মশালা...
সোমবার এক অত্যাশ্চর্য ঘটনা ঘটল। ঘোর দিনের বেলাতেই অন্ধকার নেমে এল পৃথিবী জুড়ে। উধাও হল সূর্য। গোটা পৃথিবীই বিরল এ দৃশ্যের সাক্ষী থাকল কয়েক ঘণ্টার জন্য। সোমবার, ৮ এপ্রিল হয়ে গেল চলতি বছরের প্রথম সূর্য গ্রহণ (Solar Eclipse)। এই সূর্য গ্রহণ সাধারণ কোনও সূর্যগ্রহণ নয়। বিরল ধরনের এক গ্রহণ। এই গ্রহণে সূর্য সম্পূর্ণ ঢাকা পড়ল। অন্ধকার হয়ে গেল পৃথিবী। একে বলে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। ৫১ বছর বাদে ঘটল এমন মহাজাগতিক ঘটনা।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন, ৮ এপ্রিল রাত ৯টা ১২ মিনিট থেকে এই পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ শুরু হবে। মধ্যরাত ১ টা ২৫ মিনিট অবধি স্থায়ী হবে তা। মোট ৪ ঘণ্টা ১৩ মিনিট চলবে গ্রহণ। গ্রহণ চলাকালীনই একটা সময়ে চাঁদ পৃথিবী ও সূর্যের একেবারে মাঝখানে চলে আসবে। এবং তখন চাঁদ, সূর্য ও পৃথিবী একই সমান্তরাল রেখায় থাকবে। সূর্যের আলো সম্পূর্ণ রুদ্ধ হয়ে যাবে। পৃথিবীর মাটিতে নেমে আসবে না সূর্যের একটি কিরণও। মোট সাড়ে ৭ মিনিট সূর্যকে দেখা যাবে না।
এই সূর্যগ্রহণ সম্পূর্ণত দেখা গেল আমেরিকা থেকে। গ্রহণ যেহেতু আমেরিকায়, তাই ভারতে সকালেই পড়ল সূর্য গ্রহণের প্রভাব। ভারতের নিরিখে ৪ মিনিট ২৮ সেকেন্ড চাঁদ, সূর্য ও পৃথিবী একই সমান্তরাল রেখায় থাকল। এর আগে ১৯৭৩ সালে এমন বিরল গ্রহণ ঘটেছিল। আফ্রিকা মহাদেশ দীর্ঘ সময়ের জন্য অন্ধকার হয়ে গিয়েছিল দিনের বেলাতেই!
গ্রহণ চলাকালীন দিন থেকে রাত-পরিস্থিতি এবং রাত থেকে দিন-পরিস্থিতিতে ফিরে আসার মতো ব্যতিক্রমী ঘটনায় চমকে যাবে প্রাণী এবং উদ্ভিদকুল। এদের শারীরবৃত্তীয় ছন্দ বিঘ্নিত হবে। তবে গ্রহণের পরে বেশিরভাগ জীবই তাদের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসে। দিনের আলো ম্লান হয়ে পৃথিবীতে হঠাৎ অন্ধকার নেমে এলে প্রাণীদের ব্যবহারে অস্বাভাবিক আচরণ লক্ষ্য করা যায়। এর ফলে ইকোসিস্টেমের উপরও প্রভাব পড়ে। সূর্যের আলো কিছুক্ষণের জন্য অবরুদ্ধ হয়ে যাওয়ায় পৃথিবীর তাপমাত্রা কমে যায়। এর ফলেও আকস্মিক এক অস্বাভাবিক আবহাওয়াগত পরিস্থিতি তৈরি হয়। যা এবারেও ঘটবে।
আরও পড়ুন: Antarctic: বিপদের গন্ধ! বিশ্বের সবচেয়ে হিমশীতল জায়গার তাপমাত্রা এক লাফে এতটা বাড়ল কেন?
এখন এই গ্রহণপর্বে ল্যাগার্ঞ্জ পয়েন্ট থেকে আদিত্য-এল১ সূর্যকে কেমন দেখল, কী দেখল তা নিয়েই কৌতূহল বিজ্ঞানীদের।