নিজস্ব প্রতিবেদন: মঙ্গলবার রাত ৮টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেছেন। ইতিমধ্যেই সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা গুলি যতদূর সম্ভব কর্মীদের work-from-home এর সুবিধা দিয়েছে। কিন্তু, জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে বাড়ি থেকে কাজ করা কার্যত অসম্ভব। এমন একটি পরিস্থিতির জন্য তৈরি ছিল না ভারতের বড় কল সেন্টার ইন্ডাস্ট্রিও। লকডাউনের ঘোষণার পর তাই বিশবাঁও জলে কল সেন্টার সংস্থাগুলি। অতিরিক্ত খরচের মাধ্যমে কর্মীদের অফিসে এনে বা কাছাকাছি কোথাও রেখে কাজ চালানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। বেশিরভাগ সংস্থায় এখন‌ও নেই work-from-home এর সুবিধা। কাস্টমার সার্ভিসের মত কাজ বাড়িতে বসে সম্ভব নয়, মত অধিকাংশ সংস্থার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে প্রথম বিশ্বের দেশগুলির সংস্থা কম টাকার বিনিময়ে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে কল সেন্টারে কাস্টমার সার্ভিসের বরাত দিয়ে থাকে। ভারতে এই কল সেন্টার ইন্ডাস্ট্রির আকার নেহাত ছোট নয়। অসংখ্য অল্পবয়সী কর্মীরা যুক্ত এই ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে। জরুরি পরিস্থিতিতে কর্মীদের ছুটি দেওয়া বা কাজ বন্ধ করা কার্যত অসম্ভব। কারণ তার সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে অর্থনীতিতে। 


আরও পড়ুন- লকডাউন, জেলে বন্দিদের ভিড় কমাতে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গড়ল হাইকোর্ট


কিন্তু যে রোগের ক্ষেত্রে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং সবচেয়ে বড় হাতিয়ার বলে মনে করা হচ্ছে, সেখানে কল সেন্টারগুলিতে এক ছাদের তলায় কয়েকশো কর্মীর উপস্থিতি!  কী চোখে দেখছেন কর্মীরা? মহারাষ্ট্রের এক কল সেন্টার সংস্থার কর্মীদের দাবি, বারবার আবেদন সত্ত্বেও মেলেনি সুরাহা। work-from-home এর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় প্রচুর পরিমাণ ল্যাপটপ, ইন্টারনেট কানেকশন দিতে সংস্থা অক্ষম। "আমাদেরও পরিবার আছে," দাবি তুলছেন কর্মীরা। তবে বেশ কিছু সংস্থার কিছু সংখ্যক কর্মীদের সোমবার থেকে work-from-home এর ব্যবস্থা করেছে। 


মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশিকায় রাজ্যগুলিকে জানানো হয়, লকডাউন পরিস্থিতিতে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে ছাড় দেওয়া হবে। Nasscom-এর পক্ষ থেকেও এসেনশিয়াল সার্ভিস জরুরি পরিষেবার আওতায় তথ্যপ্রযুক্তিকে রাখা হয়েছে। সেক্ষেত্রে, কল সেন্টারগুলিতে work-from-home এর সুবিধা কতদূর দেওয়া সম্ভব তাই নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।