ওয়েব ডেস্ক: এটিএম কার্ড জালিয়াতি কীভাবে হয়? কীভাবে রক্ষা পাবেন? সাম্প্রতিককালে এটিএম কার্ড জালিয়াতি আশংকাজনকভাবে বেড়ে গেছে। তাই সাইবার অপরাধগুলো কিভাবে হয় তা জানতে পারলে, ব্যবহারকারী নিজেই এসব থেকে কীভাবে নিরাপদ থাকবেন তা বুঝতে পারবেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এটিএম স্কিমিং কী? - এটিএম স্কিমিং (এটিএম কার্ড হ্যাকিং) হচ্ছে এমন একটি পদ্ধতি যা ব্যবহার করে সাইবার অপরাধীরা আপনার এটিএম কার্ডের তথ্য ব্যবহার করে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে। আর যেসব অপরাধীরা এর সাথে জড়িত তাদের স্কিমার বলে। কীভাবে হয়? স্কিমাররা সাধারণত স্কিমিং এর তিনটি ধাপে তিনটি জিনিস ব্যবহার করে স্কিমিং করে ।


স্কিমিং ডিভাইস: বুথ এর যে স্লট এ আপনি এটিএম কার্ড প্রেস করবেন সেখানে স্কিমার তাদের স্কিমিং ডিভাইস সেট করে রাখে। এই ডিভাইস অতি ক্ষুদ্র এবং কোন সংযোগ তার ছাড়াই স্কিমারকে তথ্য পাঠাতে সক্ষম। স্কিমার বুথের আশেপাশেই অবস্থান করে, এবং তার কাছে অন্য একটি রিসিভার থাকে যা স্কিমিং ডিভাইসের ডাটা গ্রহণ করতে সক্ষম।
ভিকটিম যখন স্লটে কার্ড পাঞ্চ করবে তখন স্লটে আগে থেকে সংযুক্ত করা ছোট ডিভাইসটি কার্ডের ম্যাগনেটিক অংশের সমস্ত তথ্য চুরি করে স্কিমারের কাছে পাঠিয়ে দেবে ।


পিনকোড চুরি : স্কিমার আপনার কার্ডে সংরক্ষিত সমস্ত তথ্য পেয়ে গেছে। কিন্তু আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে আপনার পিনকোডটাও প্রয়োজন। এইজন্যে স্কিমার কী প্যাডের দিকে তাক করে একটা গোপন ক্যামেরা বুথে বসিয়ে দেয়। কিংবা কী-প্যাডের উপর ফেক কীপ্যাড বসানো থাকতে পারে যা আপনি কোন কোন কী চেপেছেন সেই তথ্য স্কিমারের কাছে পাঠাবে ।


ভুয়ো এটিএম কার্ড: এবার স্কিমার রা স্কিমিং ডিভাইস থেকে পাওয়া ডাটা দিয়ে ভুয়ো স্কিমিং কার্ড বানাবে । ব্যস, কাজ শেষ । এবার স্কিমার এই ভুয়ো ক্রেডিট কার্ড এবং পিন ব্যবহার করে আপনার অ্যাকাউন্টের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম ।


এটিএম কার্ড ব্যবহারকারীদের প্রতি কিছু পরামর্শ -


১) বুথের আশপাশটা নজরে রাখুন। খেয়াল রাখুন কী-বোর্ড এর দিকে তাক করে কোনও ক্যামেরা আছে কী না।


২) স্লটে কার্ড পাঞ্চ করার সময় খেয়াল রাখুন। স্বাভাবিকের চেয়ে জোরে চাপ দিয়ে স্লটে ঢোকানো লাগলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে অবহিত করুন।


৩) কী-প্যাডটা কী অস্বাভাবিক উঁচু? খেয়াল রাখুন।


৪) পিনকোড টাইপ করার সময় নিজের হাত ঢেকে রাখুন ।


৫) কার্ড স্লট এরিয়ায় সন্দেহজনক কিছু সংযুক্ত কিনা খেয়াল রাখুন ।


৬) এরকম সন্দেহজনক কিছু দেখলে দ্রুত ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করুন ।


৭) সতর্ক থাকুন। নিরাপদে লেনদেন করুন।