নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড ও রাজ্য পরিবহণ বিভাগের যৌথ উদ্যোগে কলকাতা পুলিসের নয়া পরিকল্পনা গ্রিন করিডোর আ্যপ। চিকিৎসার জরুরিকালীন অবস্থায় রোগীদের ট্রাফিক জ্যামের হাত থেকে রক্ষা করতেই এই উদ্যোগ। কলকাতার মত ব্যস্তবহুল শহরে কোনো আ্যম্বুলেন্স যাতে ট্রাফিকে আটকে না থাকে তার জন্য এই ব্যবস্থা ।রাজ্য ইতিমধ্যে প্রাথমিক সম্মতি  দান করেছে এই বিষয়। গ্রিণ করিডোরের মাধ্যমে খুব শীঘ্রই পরীক্ষামূলক ভাবে রোগী চলাচল হবে বলে জানা গিয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্য তরফে জানা গিয়েছে দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডই সর্বপ্রথম করিডোর আ্যপ গড়ে তোলার প্রস্তাব রাখেন। কারণ, এটা রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছে দেবে। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড ,পরিবহণ বিভাগ, এবং কলকাতা পুলিস যাতে একত্রে কাজ করে দক্ষ পরিকল্পনার সঙ্গে।


কী ভাবে কাজ করবে এই আ্যপ?


"কলকাতা পুলিস ইতিমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে একটি মোবাইল আ্যপের ওপর যা জিপিএসের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। রোগী-সহ আ্যম্বুলেন্স ড্রাইভারকে এই আ্যপ্লিকেশনে লগ ইন করতে হবে পাশাপাশি উল্লেখ করতে হবে স্টার্টিং পয়েন্ট এবং গন্তব্য নাম। কলকাতা ট্রাফিক পুলিস প্রয়োজন মতো সেই রুটের দিক নির্দেশ দেবে এবং ঠিক একই সময় ডিউটিরত কনস্টেবেল ও অফিসারদের পরিচালনা করবে, যাতে তারা গ্রিণ করিডোরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে সুষ্ঠভাবে আ্যাম্বুলেন্স চলাচলে সাহায্য করতে পারে। রোগীকে আ্যাম্বুলেন্সে তোলা এবং হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া অবধি গোটা বিষয়টা পর্যবেক্ষণ করবে এই আ্যপ আর পরিচালনায় নিয়োজিত থাকবে কলকাতা পুলিসের কন্ট্রোল রুম।" জানালেন রাজ্যের এক কর্তাব্যক্তি।


খুব শীঘ্রই এই আ্যপ্লিকেশন বাজারে আসতে চলেছে যা আবার বেশ কিছু সরকারী ও প্রাইভেট হাসপাতালের সাথে যুক্ত হবে। রাজ্যেই দুশোর ওপর আ্যাম্বুলেন্স আছে এছাড়াও জেলা থেকেও বেশ কিছু আসে। তাই একই সময় একসঙ্গে সমস্ত আ্যাম্বুলেন্স একত্র করা ও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। প্রথমে পরীক্ষামূলক ভাবে কম সংখ্যায় আ্যাম্বুলেন্স আনা হবে এর আওতায় বলে জানা গিয়েছে।