জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো:  প্রাকৃতিক হাইড্রোজেন বা ভূতাত্ত্বিক হাইড্রোজেন নিয়মিত হাইড্রোজেনের চেয়ে বহুগুণ কার্যকরী। এর ফলে প্রকৃতিতে দূষণ ছড়ায় না। জীবাশ্ম জ্বালানি দহনের জেরে প্রকৃতি-পরিবেশের যে ক্ষতি হয়, তা এই হাইড্রোজেন থেকে হয় না। এই হাইড্রোজেনেরই অজানা এক ভাণ্ডারের খোঁজ মিলল ফ্রান্সে।  পৃথিবীতে এর চেয়ে বড় সাদা হাইড্রোজেনের ভাণ্ডার আগে আবিষ্কৃত হয়নি বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। তাঁরা বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমাতে এ আবিষ্কার যুগান্তকারী হতে পারে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Parker Solar Probe: সূর্যের হাঁ-য়ের দিকে ভয়ংকর গতিতে ছুটছে বিশ্বের সর্বোচ্চ গতির যান! কেন?


জীবাশ্ম জ্বালানির খোঁজে ফ্রান্সের উত্তর–পূর্বাঞ্চলের খনি এলাকায় খনন চালাচ্ছিলেন দুই বিজ্ঞানী। তাঁরা সেখানে এমন এক জ্বালানির খোঁজ পেলেন, যা তাঁদের কাছে ছিল প্রায় অপ্রত্যাশিত। বলা হচ্ছে, এই আবিষ্কার জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট মোকাবিলার কর্মপ্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে।


ওই দুই বিজ্ঞানী হলেন জ্যাক পিরনোঁ ও ফিলিপ দে দোনাতো। দু'জনই ফ্রান্সের ন্যাশনাল সেন্টার অব সায়েন্টেফিক রিসার্চের গবেষণায় যুক্ত। লরেইন খনি-অঞ্চলে মিথেন গ্যাসের ভাণ্ডার কেমন তা দেখতে গবেষণা করছিলেন তাঁরা। গবেষণার একপর্যায়ে এসে তাঁরা সাদা হাইড্রোজেনের বিপুল মজুত শনাক্ত করেন!


জ্যাক পিরনোঁ জানান, কয়েকশো মিটার খনন করার পর অল্প কিছু হাইড্রোজেন পাওয়া যায়। খনিতে অল্প হাইড্রোজেন পাওয়ার ঘটনা স্বাভাবিক। তবে খনন যত এগোয়, মজুত হাইড্রোজেনের পরিমাণ তত বাড়তে থাকে। ১১০০ মিটার গভীরে ১৪ শতাংশ এবং ১২৫০ মিটার গভীরে ২০ শতাংশ সাদা হাইড্রোজেনের মজুত মেলে যা দেখে তাঁরা অবাক! পিরনোঁ জানান, খনিটিতে যে বিপুল পরিমাণ হাইড্রোজেনের ভাণ্ডার রয়েছে, এ তারই ইঙ্গিত। মজুতের পরিমাণ হিসেব কষে দেখেন তাঁরা। তাঁদের মতে, সেখানে আনুমানিক ৬০ লাখ থেকে ২৫ কোটি মেট্রিক টন পর্যন্ত হাইড্রোজেন মজুত থাকতে পারে!


আরও পড়ুন: মাত্র কয়েক বছর পরেই পৃথিবী থেকে পাকাপাকি বিদায় নেবে সমস্ত রোগ! কী আশ্চর্য জিনিস আনছেন জাকারবার্গ?


সাদা হাইড্রোজেন 'প্রাকৃতিক', 'সোনালি' ও 'ভূতাত্ত্বিক' হাইড্রোজেন হিসেবে পরিচিত। সাদা বা প্রাকৃতিক হাইড্রোজেন কারখানায় উৎপাদিত হাইড্রোজেনের তুলনায় অনেক সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব। প্রচুর জ্বালানি প্রয়োজন হয়, এমন শিল্পে এর ব্যবহার পরিবেশের দূষণ কমাবে। জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের পর বর্জ্য হিসেবে শুধু জল নির্গত হওয়ায় একে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি বলা হয়। ঠিক এইজন্যই জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট মোকাবিলায় সাদা হাইড্রোজেন বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। 


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)