FaceApp-এর মতো প্রযুক্তির সাহায্যে ১৮ বছর আগে হারানো ছেলেকে পেলেন মা-বাবা
চিনের গুয়াঙঝোউ শহরে FaceApp-এর মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করে ১৮ বছর আগে নিখোঁজ হওয়া ছেলেকে খুঁজে পেলেন মা-বাবা। এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বেশি বয়সের সম্ভাব্য ছবি তৈরী করে খোঁজ চালিয়ে সাফল্য পেল পুলিস। ব্রিটিশ সংবাদসংস্থা মেট্রো-এর একটি রিপোর্টে এমনটাই জানা গিয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : চিনের গুয়াঙঝোউ শহরে FaceApp-এর মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করে ১৮ বছর আগে নিখোঁজ হওয়া ছেলেকে খুঁজে পেলেন মা-বাবা। এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বেশি বয়সের সম্ভাব্য ছবি তৈরী করে খোঁজ চালিয়ে সাফল্য পেল পুলিস। ব্রিটিশ সংবাদসংস্থা মেট্রো-এর একটি রিপোর্টে এমনটাই জানা গিয়েছে।
প্রায় ২০০১ সালের ৬ মে নিখোঁজ হয় বছর তিনের ছোট্ট ইউ ওয়েইফেঙ। ইউ-এর বাবা একটি নির্মীয়মান বিল্ডিং-এ মিস্ত্রীর কাজ করতে যাওয়ার সময়ে তাকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিল। বিল্ডিং-এর সামনের মাঠে শেষ বার খেলা করতে দেখা গিয়েছিল তাকে। তখনই অপহরণ করা হয় ছোট্ট ইউকে। কাজ শেষে বিল্ডিং-এর বাইরে বেরিয়ে ইউকে দেখতে পাননি তার বাবা। এর পর হন্যে হয়ে ঝেঙের খোঁজ করে তার মা বাবা। পুলিসে ডায়েরি করেও কোনও সুরাহা হয়নি।
আরও পড়ুন :সাবধান! আপনার ফোনে FaceApp-এর ভুয়ো সংস্করণ নেই তো?
গুয়াঙঝোউ পুলিসের এক কর্তা জানান, সেই সময়ে বহু চেষ্টা করেও ইউ-এর খোঁজ পায়নি পুলিস। সম্প্রতি ফেসঅ্যাপের জনপ্রিয়তা বাড়ার পর নতুন বুদ্ধি আসে পুলিসের মাথায়। বানানো হয় ফেসঅ্যাপের মতো বয়সের সঙ্গে মুখের আদল বদলের প্রযুক্তি। এরপর এই ধরনের কেসগুলি আবার নতুন করে খোলে পুলিস। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইউ-এর ৩ বছর বয়সের একটি ছবি থেকে ২১ বছর বয়সের মুখের আন্দাজ করা হয়। তার পরে গুয়াঙঝোউ-এর আশেপাশের শহরগুলিতে খোঁজ চালায় পুলিস। পুলিসের ডাটাবেস থেকে ওই ওই মুখের আদলের সঙ্গে মিল আছে এমন প্রায় ১০০ জন ২১ বছর বয়সী যুবককে প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়। চুলচেরা বিশ্লেষণের পর তার মধ্যে একজনকে আলাদা করে পুলিস। তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ডিএনএ টেস্ট করে জানা যায় এই যুবকই ১৮ বছর আগে নিখোঁজ হওয়া ইউ।
এদিকে এই ১৮ বছর পালক মা-বাবার কাছে দত্তকপুত্র হিসাবে বেড়ে উঠেছে সে। পালক মা-বাবার পদবী লি ব্যবহার করে সে। প্রথমে পুলিসের দাবি বিশ্বাসই করতে পারেনি যুবক। তারপর ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট আসার পর কান্নায় ভেঙে পরে সে। ২০ জুলাই এক আবেগঘন মুহুর্তে মা-বাবার সঙ্গে ১৮ বছর পর দেখা হয় তার। ছেলেকে এভাবে ফিরে পাবেন কখনো ভাবেননি ইউ-এর মা বাবা। ছেলেকে পেয়ে আনন্দে কেঁদে ফেলেন তাঁরা। সংবাদমাধ্যমকে ইউ-এর বাবা বলেন, "এভাবে ফিরে পাব ভাবিনি। ওকে যত্ন করে বড় করার জন্য ওর পালক মা-বাবাকে ধন্যবাদ। ওর এখন দুটো বাবা। ওর আরেক বাবা আজ থেকে আমার ভাই।"