নিজস্ব প্রতিবেদন: অবশেষে কি জনপ্রিয়তার ধাক্কা? জাওয়ার প্রাথমিক ধাক্কায় কি টলোমলো রয়্যাল এনফিল্ডের সিংহাসন? নভেম্বরে মোটরসাইকেল বিক্রির তথ্য কিন্তু তেমনই বলছে। জাওয়ার বুকিং শুরু হতেই এক ধাক্কায় ২১ শতাংশ বিক্রি কমেছে Royal Enfield Classic 350-র বিক্রি। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে গুঞ্জন। ওদিকে জল মেপে নিজেদের জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে তত্পর হয়েছে রয়্যাল এনফিল্ডও। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সম্প্রতি নভেম্বরে বিক্রির তথ্য প্রকাশ করেছে রয়্যাল এনফিল্ড। তাতে দেখা যাচ্ছে, ২০১৭-র নভেম্বরের তুলনায় ২০১৮-র নভেম্বরে মোট ৬ শতাংশ বিক্রি কমেছে রয়্যাল এনফিল্ডের। শুধুমাত্র ক্লাসিক ৩৫০ মডেলের বিক্রি কমেছে ২১ শতাংশ। ২০১৭-র নভেম্বরে মোট ৪৯,৫৩৫টি ক্লাসিক ৩৫০ বিক্রি করেছিল সংস্থা। সেখানে গত নভেম্বরে বিক্রি হয়েছে ৩৯,০২৫টি মোটরসাইকেল। 



গত মাসেই শুরু হয়েছে Jawa-র বুকিং। ২টি ভেরিয়্যান্টে মিলছে রেট্রো স্টাইলড এই মোটরসাইকেল। লঞ্চের গত ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলেছে জাওয়ার বুকিং। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আর বুকিং নেওয়া সম্ভব নয় তাদের পক্ষে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জাওয়ায় রয়েছে রয়্যাল এনফিল্ডের থেকে অনেক আধুনিক ইঞ্জিন। ফলে ডিসপ্লেসমেন্ট রয়্যাল এনফিল্ডের থেকে কম হলেও বেশি শক্তিশালী জাওয়ার ইঞ্জিন। 


বিশেষজ্ঞদের মতে, খাতায় কলমে রয়্যাল এনফিল্ডের ৩৪৬ সিসি ইঞ্জিনকে প্রায় সমস্ত ক্ষেত্রে পিছনে ফেলতে পারে জাওয়ার ২৯৩ সিসি ইঞ্জিন। জাওয়ার ইঞ্জিনে রয়েছে ফুয়েল ইনজেকশন প্রযুক্তি। যা আরও বেশি মাইলেজ পেতে সাহায্য করে। সেখানে রয়্যাল এনফিল্ড এখনো ব্যবহার করে পুরনো কার্বুরেটর প্রযুক্তি। জাওয়ার ইঞ্জিনে রয়েছে লিকুইড কুলিং সিস্টেম। যার ফলে দীর্ঘক্ষণ চরম ক্ষমতায় কাজ করতে পারে ইঞ্জিনটি। কিন্তু রয়্যাল এনফিল্ড এখনো আটকে রয়েছে এয়ার কুলড ইঞ্জিনে। এছাড়া জাওয়ায় রয়েছে ডুয়াল এক্সহস্ট। যার ফলে মোটরসাইকেলটি আরও ক্ষমতাশালী ও তত্পর হয়ে ওঠে। 



চার্জিংয়ের সময় মোবাইল ফোন ফেটে দগ্ধ একই পরিবারের ৪


জাওয়া যে রয়্যাল এনফিল্ডের অন্দরমহলে নাড়া দিয়েছে তার খবর মিলেছে সম্প্রতি। জানা গিয়েছে, আরও আধুনিক ৩৫০ সিসি তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছে তারা। 


যদিও বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, Jawa রাস্তায় না-নামা পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্তে আসা ঠিক নয়। ভারতের রাস্তায় কতটা মানিয়ে নিতে পারে এই মোটরসাইকেল। মোটরসাইকেলটির যন্ত্রপাতি কতটা মজবুত উপাদান দিয়ে তৈরি হয়েছে তা একদিনে টের পাওয়া অসম্ভব।