নিজস্ব প্রতিবেদন: গোটা বিশ্বে FaceApp-এর জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে! এই অ্যাপ ব্যবহার করে নিজেদের বয়স কমিয়ে বা বাড়িয়ে দেখে নিতে মশগুল দুনিয়ার লক্ষলক্ষ মানুষ। এর মধ্যে রয়েছেন হলি, বলির সেলেব্রিটিরাও। কিন্তু এই FaceApp-এর ব্যবহারে বিপদেরই গন্ধ পাচ্ছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। সংস্থার গোয়েন্দাদের দাবি, এই অ্যাপের মাধ্যমেই আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চলে যেতে পারে হ্যাকারদের হাতের মুঠোয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০১৭-তে প্রথম প্রকাশ্যে আসা FaceApp শুরু থেকেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে সব বয়সী মানুষের কাছে। তবে, সম্প্রতি সেলিব্রেটিরাও এই অ্যাপ ব্যবহার করা শুরু করায় FaceApp-এর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে ওঠে। Google Play Store-এ ফোটো এডিটিং অ্যাপ-এর সেকশানে প্রথম সারিতেই রয়েছে এই অ্যাপ। কিন্তু এই অ্যাপের শর্তাবলী মেনে নেওয়ার মাধ্যমেই ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য চলে যাচ্ছে অ্যাপ প্রস্তুকারীদের হাতে। বুধবার মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই-কে দেওয়া চিঠিতে এই আশঙ্কা প্রকাশ করেন সিনেট সংখ্যালঘু নেতা চাক শুমাখার। তিনি লেখেন, “রুশ অ্যাপটি মার্কিন ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্যাবলী কোথাও ফাঁস করছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। রুশ সরকারকে এই তথ্যাবলী দেওয়া হলেও সে ক্ষেত্রে আর কিছুই করার থাকবে না।”


চিঠি পেয়েই নড়েচড়ে বসে এফবিআই। শুরু হয় তদন্ত, নজরদারী। দতন্তের পর এফবিআই গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, ব্যবহারকারীদের আশঙ্কার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। কারণ, এই অ্যাপের মাধ্যমেই ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চলে যেতে পারে রুশ হ্যাকারদের হাতের মুঠোয়। এফবিআই-এর সাম্প্রতিক রিপোর্টে FaceApp-কে ‘পোটেনশিয়াল কাউন্টারইন্টেলিজেন্স থ্রেট’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।


আরও পড়ুন: লঞ্চের আগেই ফাঁস হল Samsung Galaxy A51-এর স্পেসিফিকেশন!


মার্কিন আইনজীবি এলিজাবেথ পটস্ ওয়েইনস্টেইনও এই বিষয়ে টুইট করে তাঁর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। অ্যাপের শর্তাবলীর একটি স্ক্রিনশট পোস্ট করেন তিনি। সেখানে তিনি দেখান, এই অ্যাপ ব্যবহার করার সময়ে ব্যবহারকারীরা তাদের ফোটো, নাম এবং পছন্দাবলীর মতো তথ্য তুলে দিচ্ছেন এই রুশ সংস্থার হাতে। এ বিষয়ে গুগলের প্রাক্তন মার্কেটিং ম্যানেজার এরিয়েল হোস্টাট জানান, এই ধরনের অ্যাপ নিয়ে তিনি বার বার ব্যবহারকারীদের সচেতন করেছেন। ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কোনও ভাবে হ্যাকারদের হাতে চলে গেলে তার ফল হতে পারে মারাত্বক! ব্যক্তিগত তথ্য থেকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের যাবতীয় তথ্য— সব কিছুই হাতিয়ে নিতে পারবে হ্যাকাররা।