জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এক অনন্ত আকাশ। দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতা যেখানে অসীম। সব তারা, সব গ্রহ, সব রঙ মিলিত হয়ে যা কালো। ঠিক যেন 'অশেষ তোমার শেষ যে না পাই'! এই মহাকালে প্রাণের কোথায় শুরু, কোথায় শেষ তা অজানাই আজও। সেই মহাকাশেই এবার ফুটল প্রাণ। ফুটল ফুল। যে ছবি নাসা প্রকাশ করেছে, সেখানের ব্যাকগ্রাউন্ডে অন্ধকার মহাকাশ আর একফালি পৃথিবী। এ ছবি যেন একদম 'Surreal Beauty'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, Cyclone Biparjoy: মধ্যভাগে ঘূর্ণিঝড়ের চোখ, চারিদিকে ঝোড়ো বলয়! মহাকাশ থেকে 'বিপর্যয়'-এর ভয়ঙ্কর ছবি


তবে মহাকাশে এভাবে প্রাণ 'ফুটিয়ে' তোলা নি:সন্দেহে গবেষণাক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি মুন এবং মার্স মিশনে মানুষ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেশ কয়েকটি স্পেস রিসার্চ এজেন্সি। সেই দীর্ঘ সময়ে যদি এই গবেষণা কাজে আসে তা জরুরি তো বটেই। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সাল থেকে NASA মহাকাশে ফুলের চাষের জন্য বীজ রোপণ করছে। সেই সময় NASA মহাকাশচারী কেজেল লিন্ডগ্রেন এই জিনিয়া ফুলের বীজটি রোপণ করেছিলেন। ওই বীজ থেকেই এই ফুল ফুটেছে মহাকাশে। 


সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ফুলের ছবি পোস্ট করে মহাকাশ সংস্থা নাসা লিখেছে, "আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ১৯৭০ সাল থেকে উদ্ভিদ নিয়ে গবেষণার কাজ চলছে৷ মহাকাশ উদ্যানের গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে, NASA বলেছে, "আমাদের মহাকাশ উদ্যান শুধুমাত্র দেখানোর জন্য নয়। কক্ষপথে কীভাবে উদ্ভিদের বিকাশ হয় তা শেখা আমাদের বুঝতে সাহায্য করবে।  দীর্ঘমেয়াদী মিশনে খাদ্যের একটি মূল্যবান উৎস প্রদান করতে সাহায্য করবে। এছাড়াও ISS-এ লেটুস, টমেটো এবং লঙ্কা চাষ হয়েছে। অন্যান্য সবজির মধ্যে—আরও প্রচুর গাছপালা আছে।" 


নাসা আরও জানিয়েছে, মহাকাশে ফুল ফোটানো অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং একটি বিষয় ছিল। যেখানে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কাজ করে না, এমন একটি জায়গায় কিভাবে গাছ রোপন করা যায়, কিভাবে সেগুলোকে ঠিক মতো পরিচর্যা করে বাঁচিয়ে তোলা যায়, সব কিছু নিয়ে গবেষণা করা হয়েছিল। ওই গবেষণার ফল অবশেষে পাওয়া গেল।



আরও পড়ুন, Twitter | Facebook: মাস্কের মুখোমুখি মার্ক, ট্যুইটারকে টেক্কা দিতে নতুন প্রোজেক্ট মেটার


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)