সোশ্যাল মিডিয়ায় এই তথ্যগুলি ভুলেও শেয়ার করবেন না!
জেনে নেওয়া যাক তেমনই কয়েকটি বিষয় যা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা বিপজ্জনক হতে পারে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মুহূর্তের মধ্যে দুনিয়ার যে কোনও ব্যাক্তির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা এখন ‘জল-ভাত’। শুধু যোগাযোগ করাই নয়, কারও সম্পর্কে খুঁটিনাটি তথ্য জানতে শুধু তার সোশ্যাল মিডিয়া প্রফাইল ভিজিট করলেই চলে। কারণ, বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বা ছবি শেয়ার করি।
কিন্তু যে কোনও সোশ্যাল মিডিয়াতে কি আমাদের নিজেদের, পরিবারের বা বন্ধুদের সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, ছবি খোলামেলা ভাবে পোস্ট করা উচিৎ? মোটেই নয়। সম্প্রতি ফেসবুকের ‘ভিউ অ্যাজ’ ফিচারের নিরাপত্তা জাল কেটে কয়েক কোটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টের তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়েছে! সোশ্যাল মিডিয়া থেকে পাওয়া তথ্যের উপর নির্ভর করে একের পর এক চুরি, ডাকাতির ঘটনা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। একের পর এক ব্যাঙ্ক জালিয়াতি-সহ একাধিক সাইবার অপরাধের ঘটনা ঘটে চলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা একাধিক ব্যক্তিগত তথ্যের সূত্র ধরে। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় কখনওই কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করা উচিৎ নয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক তেমনই কয়েকটি বিষয় যা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা বিপজ্জনক হতে পারে।
১) আপনার সঠিক জন্ম তারিখ: জন্মদিনে সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুদের থেকে শুভেচ্ছাবার্তা পেতে কার না ভাল লাগে! কিন্তু ফেসবুক-সহ যে কোনও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার সঠিক জন্ম তারিখ স্ক্যামারদের বা হ্যাকারদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি তথ্য। তারা এই তথ্যকে কাজে লাগিয়ে আপনার নামে ফেক প্রোফাইল তৈরি করতে পারবে। এর পর যে কোনও সাইবার অপরাধমূলক কাজে তারা এই ফেক প্রোফাইলটি ব্যবহার করতে পারে।
২) সোশ্যাল প্ল্যান শেয়ার করা: আপনার কোনও সোশ্যাল প্ল্যান যেমন, বড় কোনও পার্টি, অনুষ্ঠান, কোথাও কোনও নামী রেস্তোরাঁয় নৈশভোজে যাবেন, কারও সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা বা কোথায় বাইরে যাওয়ার পরিকল্পনার তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় (টাইম লাইনে) পোস্ট করবেন না। হ্যাকাররা বা সাইবার অপরাধীরা এই তথ্য কাজে লাগিয়ে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই বা অপহরণের মতো কোনও অঘটন ঘটাতেই পারে।
৩) লোকেশন শেয়ার: আমারা অনেকেই নিজের পোস্টের সঙ্গে সব সময় লোকেশন ট্যাগ করে থাকি। কিন্তু অনেকেই নিজের লোকেশন শেয়ার করার ভয়াবহতা সম্পর্কে অবগত নন। হ্যাকাররা বা সাইবার অপরাধীরা প্রোফাইল লোকেশন অনুসরণ করে সহজেই আপনার উপর নজর রাখতে পারবে। আর যে কোনও সময় এই তথ্য কাজে লাগিয়ে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই বা অপহরণের মতো কোনও অঘটন ঘটাতেই পারে। তাই অত্যন্ত সাবধান!
৪) সন্তানদের ছবি ট্যাগিং: সন্তানের কখনও কোনও ক্ষতি হোক, তা কোনও অভিভাবকই চান না। কিন্তু অনেকেই নিজের সন্তানের ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোড করে এবং বাচ্চাদের নাম ব্যবহার করে ফটো ট্যাগ করেন। এটা অত্যন্ত সাধারণ একটা বিষয় বলে মনে হলেও এর ভয়াবহতা সম্পর্কে অবগত নন। শিশুটির ছবি বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে ব্যবহৃত হতে পারে, বিভিন্ন পর্নগ্রাফির ওয়েবসাইটেও ব্যবহৃত হতে পারে। তাই সতর্ক হওয়া জরুরি।
৫) ফোন নম্বর শেয়ার: আপনার সঠিক ফোন নম্বর শেয়ার করাটা সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য জরুরি। এ ছাড়াও এই ফোন নম্বর থেকেই আপনার বন্ধুরা আপনাকে সহজেই খুঁজে নিতে পারবে। তবে একটা ছোট্ট ঝুঁকিও রয়েছে। আপনার ফোন নম্বর হ্যাকারদের হাতে পড়ে গেলেই বিপদ! এ ক্ষেত্রে এই ফোন নম্বর ‘প্রাইভেসি হাইড’ করে রাখা জরুরি।