নিজস্ব প্রতিবেদন: পুজো মানেই হইহুল্লোড়, প্যান্ডাল হপিং, চটপটি স্ট্রিট ফুড থেকে নামী রেস্তোরাঁর জিভে জল আনা মুখরোচক নানা পদে পেটপুজোর আয়োজন। কিন্তু এর মধ্যে যদি আপনাকে রাস্তায় বেরিয়ে দীর্ঘক্ষণ জ্যামে বসে থাকতে হয়? ঠাকুর দেখতে বেড়িয়ে অযথা সময় নষ্ট মানেই ঠাকুর দেখার হিসাব কমে যাওয়া। পুজোর আগেই সেরে ফেলুন কয়েকটি জরুরি প্রস্তুতি যাতে পুজোর দিনগুলোয় একটুও অযথা সময় নষ্ট না হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মেট্রো স্মার্ট কার্ড: যারা নিয়মিত মেট্রোয় যাতায়াত করেন, তাঁদের এ বিষয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। কিন্তু যাঁরা নিয়মিত এতে যাতায়াত করেন না, অথবা যাঁদের মেট্রো কার্ড নেই, তাঁরা পুজোর জরুরি প্রস্তুতির তালিকায় এক নম্বরে রাখুন স্মার্টকার্ড রিচার্জ। একটা মেট্রো কার্ড কিনে রিচার্জ করে ফেলুন । তার পর লাইনের তোয়াক্কা না করে সোজা গেট দিয়ে ঢুকুন, কার্ড পাঞ্চ করুন, মেট্রো চড়ুন, গন্তব্যে পৌঁছন তাড়াতাড়ি । এরই সঙ্গে ডাউনলোড করে নিন কলকাতা মেট্রো অ্যাপ। এই অ্যাপ থেকে ২৪টি মেট্রো স্টেশনের যাবতীয় খবরাখবর এক ক্লিকেই পেয়ে যাবেন। মেট্রোয় কোনও অসুবিধায় পড়লেও কল করতে পারবেন অ্যাপে দেওয়া হেল্পলাইন নম্বরে।


আরও পড়ুন: পুজোর আগে বেছে নিন আপনার জন্য সবচেয়ে মানানসই সানগ্লাস


রেলের মান্থলি: মেট্রোর কার্ডের মতো পুজোর দিনগুলোয় সময় বাঁচাতে রেলের মান্থলি করে নেওয়াটাও খুবই জরুরি। সামান্য কিছু টাকা, আপনার পরিচয় পত্র এবং একটা ছবি দিলেই আপনি মান্থলি করিয়ে নিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে আপনাকে দুই প্রান্তের দুটি স্টেশনের নাম জানাতে হবে টিকিট কাটার সময়েই। যেমন, বালিগঞ্জ থেকে ব্যারাকপুর। কম মূল্যের এই মান্থলি টিকিট কেটে এক মাসে আপনি অসংখ্যবার যাতায়াত করতে পারবেন নির্দিষ্ট দুই স্টেশনগুলির মধ্যে। আর যদি সহজে দক্ষিণ থেকে উত্তরে যেতে হয়, মাত্র ৩০ মিনিটে পৌছে দিতে পারে রেল।


দুর্গাপূজা পরিক্রমা কলকাতা: এই অ্যাপ-এ পেয়ে যাবেন ৫০০টি তালিকাভুক্ত পুজো। রয়েছে জিপিএস অ্যাকসেস। পেয়ে যাবেন পুজো মণ্ডপের আলাদা আলাদা জোন, সার্চ- ডিরেকশন অপশন। দুর্গাপুজোর হেল্পগাইড অ্যাপটি গত বছর থেকে চালু হয়েছে। পুজোর সময় এই অ্যাপটি আপনার স্মার্টফোনে রাখতে ভুলবেন না!


আরও পড়ুন: পুজোর আগে বেছে নিন আপনার চুলের স্টাইল


গুগল অ্যাসিসট্যান্ট: পুজোয় প্যান্ডেল হপিং-এ বেরবেন নিশ্চয়ই! বাস, মেট্রো, অটো... সবই চললেও সপরিবার বা শুধু প্রিয়জনের দল বেঁধে ঘুরতে বেরানোর মজাই আলাদা। ক্যাব বুক করে বাড়ির সামনে থেকে একসঙ্গে উঠে সোজা পৌঁছে যান পছন্দের পুজো প্যান্ডেলগুলিতে। কিন্তু আপনার মোবাইলে যদি ওলা বা উবার-এর অ্যাপ না থাকে? Play Store থেকে ডাউনলোড করতে বসলেন নাকি? তার আর দরকার নেই। কারণ, এ বার Google Assistant-এর মাধ্যমেই ভারতে ট্যাক্সি বুক করা যাবে। Google Assistant ব্যবহার করে কন্ঠস্বরের মাধ্যমে Ola, Uber, Meru, Grab, Lyft, Go-Jek-সহ একাধিক অ্যপ ট্যাক্সি বুক করা যাবে। শুধু তাই নয়, ট্যাক্সি বুক করার পরে কত ক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে বা ভাড়া কত হবে, যাবতীয় তথ্য ট্যাক্সি বুক করার আগেই জানিয়ে দেবে Google Assistant।


গুগল আর্থ: পুজোর চার দিনে কলকাতা শহরের যে কোনও প্রান্তের রাস্তায় ভোগান্তি চরমে পৌঁছাবে। ট্র্যাফিক ঝঞ্ঝাট পেরিয়ে ক’টা সেরা ঠাকুর বা প্যান্ডেল দেখতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হবে! তবে চিন্তা নেই, গুগল আর্থ আছে তো! গুগল ম্যাপের মাধ্যমে সহজেই বুঝে নিতে পারবেন, যে কোন রাস্তা দিয়ে ঠাকুর দেখে সময় বাঁচিয়ে বেরিয়ে আসা যাবে। তাই পুজোয় ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে রাস্তাঘাট চেনার প্রয়োজন কী? পুজোর দিনগুলোয় অচেনা রাস্তায় আপনার গাইড হয়ে উঠবে গুগল আর্থ।


‘স্মার্ট পার্কিং’ অ্যাপ: পুজোয় গাড়ি নিয়ে বেরনো যেন আর এক ঝঞ্ঝাট! ঠাকুর দেখবেন এক প্রান্তে আর গাড়ি রাখতে হবে আর এক প্রান্তে। বাঁশ দিয়ে ঘেরা রাস্তা আর হোর্ডিংয়ের ভিড়ে পার্কিংয়ের জায়গা খুঁজে পাওয়াটাই মুশকিল হয়ে যায় অনেক সময়। তাহলে কী গাড়ি বাড়িতে রেখে হেঁটে ঠাকুর দেখবেন? মোটেই নয়! নির্ঝঞ্ঝাট পার্কিংয়ের খোঁজ পেতে আজই নিজের স্মার্টফোনে ডাউনলোড করুন ‘স্মার্ট পার্কিং’ অ্যাপ। জেনে নিন কোথায় পাওয়া যাবে গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা বা ঘণ্টা-পিছু পার্কিং রেট কত! শুধু তাই নয়, এই অ্যাপের সাহায্যে ন্যাভিগেট করতে পারবেন পার্কিং স্পট-ও। মোবাইল নম্বর দিয়ে ‘স্মার্ট পার্কিং’ অ্যাপে রেজিস্টার করলে সহজেই জেনে নিতে পারবেন কাছাকাছি কোথায় কোথায় পার্কিং-এর জায়গা পাবেন।


পথদিশা: পরিবহণ ব্যবস্থাকে আরও স্মার্ট করতে গত বছরই রাজ্য সরকার চালু করেছিল ‘পথদিশা’ অ্যাপ। এই অ্যাপের সাহায্যে নির্দিষ্ট বাস স্টপেজে দাঁড়িয়েই এক ক্লিকে জেনে নিতে পারবেন বাস এখন কোথায়, কতগুলো স্টপেজ বা বাস স্টপ থেকে বাসের দূরত্ব কত? শহর ও শহরতলিতে চলা সব সরকারি বাসের তথ্য পেয়ে যাবেন এই ‘পথদিশা’ অ্যাপে।


জোম্যাটো বা সুইগি: পুজোয় শুধু প্যান্ডাল হপিং করলেই তো হল না, পেটে দানা-পানিও তো দিতে হবে! পুজোর চার দিন খাবারের জন্য বড় বড় রেস্তরাঁর সামনে লাইনে দাঁড়াতে হলে খাবেন কখন আর ঠাকুর দেখবেন কখন! তার চেয়ে মোবাইলে ডাউনলোড করে নিন জোম্যাটো বা সুইগি-র মতো ফুড ডেলিভারি অ্যাপ আর প্যান্ডাল হপিং সেরে বাড়ি ফিরে জমিয়ে খান জিভে জল আনা নামজাদা রেস্তোরাঁর খাবার-দাবার। বিরিয়ানি, চাউমিন, মোমো কিংবা লেবানিজ। পছন্দের খাবার আগেভাগে অর্ডার করে নিশ্চিন্ত হয়ে যান।