ওয়েব ডেস্ক : মারণ খেলা ব্লু হোয়েল। যার নেপথ্যে রয়েছে ভার্চুয়াল ইকনমির কয়েকশো কোটির লেনদেন। সাইবার দুনিয়ার এই অন্ধকার অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে সফটওয়্যার ডেভেলপাররা। যত বার গেম খেলা হবে, ততবারই লাভ। উন্নত বিশ্বে নজরদারি বাড়ায়, মারণ খেলার কারবারিদের টার্গেট এখন তৃতীয় বিশ্ব।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নেট দুনিয়ার নিছক একটা গেম। একের এক ধাপে একেকটি টাস্ক। চূড়ান্ত পর্যায়ে সাফল্য মানে নিশ্চিত মৃত্যু। আতঙ্কের আরেক নাম ব্লু হোয়েল। এমন মারণ গেমের ফাঁদে পা দেবে কে? সফট টার্গেট অবশ্যই কিশোররা।  কিন্তু একের পর এক তাজা প্রাণকে এভাবে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়ে কার কী লাভ? লাভ তো আছে। কয়েকশো কোটির টাকার খেলা রয়েছে এই ব্লু হোয়েলের নেপথ্যে। সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই গেম খেলানোর পিছনে রয়েছে ভার্চুয়াল অর্থনীতির খেলা।


ভার্চুয়াল ইকনমি কি?
বাস্তবের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সাইবার দুনিয়ায় গড়ে উঠেছে সমান্তরাল অর্থনীতি বা ভার্চুয়াল অর্থনীতি। মাল্টি বিলিয়ন ভার্চুয়াল ইকনমি নিয়ন্ত্রণ করে সফটওয়্যার ডেভেলপাররা। এক্ষেত্রে অন্যতম খিলাড়ি মার্কিন সংস্থা লিনডেন। সাইবার দুনিয়ায় শুধু নানারকম গেমই নয়, ভার্চুয়াল জুয়া এবং দেহ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে তারা। যতবার এধরনের গেম ডাউনলোড করা হবে বা খেলা হবে, ততবার বিশাল অঙ্কের লাভ হয় গেম ডেভেলপারদের। আর সেই অর্থ ব্যবহার হয় বেআইনি অস্ত্র কেনা, নারি পাচার বা মাদক কারবারে।


টার্গেট এখন তৃতীয় বিশ্ব
ভার্চুয়াল ইকনমির এই খেলা রুখতে কড়া নজরদারি রয়েছে আমেরিকা এবং ইউরোপের কয়েকটি দেশে। তাই এই অর্থনীতি চলে যায় সাইবার দুনিয়ার অন্ধকার জগতে, যা ডার্ক ওয়েব নামে পরিচিত। তাতেও স্বস্তিতে নেই মারণ খেলার কারবারিরা। ফলে এবার টার্গেট তৃতীয় বিশ্ব। বেশি জনসংখ্যার এই দেশগুলিতে ব্লু হোয়েলের কালো জাল ছড়িয়ে দিতে পারলেই কেল্লা ফতে। বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলিও তখন হয়ে উঠবে ভার্চুয়াল দুনিয়ার টাকার খনি।


আরও পড়ুন, মারণ খেলার প্রতি ঝোঁক বাড়ছে শিশুদের!