নিজস্ব প্রতিবেদন: হলিউডের বেশ কয়েকটি হরর বা সাইকো থ্রিলার ছবিতে এমন গল্প দেখেছেন অনেকেই। কিন্তু বাস্তবে এমনটা ভাবাও শক্ত! সহপাঠীদের কেটে টুকরো টুকরো করে তাদের মাংস খাবার পরিকল্পনা দুই বন্ধু। এ পর্যন্ত শুনে হয়তো ভাবছেন, এমন তো আজকাল মাঝে মধ্যেই শোনা যাচ্ছে। কিন্তু যদি বলি, এই পরিকল্পনা দুটি ১১ ও ১২ বছর বয়সী কিশোরীর! হতভম্ভ হয়ে গেলেন তো!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঠিক এমনই অবস্থা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ফ্লোরিডার বারটো মিডল স্কুলের শিক্ষক, অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীদের। জানা গিয়েছে, ক্লাসের সহপাঠীকেই খুনের জন্য ছুরি হাতে স্কুলে পৌঁছায় দুই ছাত্রী। ছুরি হাতে শৌচাগারে অপেক্ষা করতে থাকে তারা। ইতিমধ্যে সহকারি প্রধান শিক্ষক শৌচাগারে ঢুকে চমকে ওঠেন। তিনি দেখেন, ছুরি হাতে সেখানে অপেক্ষা করছে দুই ছাত্রী। এই দুই কিশোরীর কাছ থেকে মোট চারটি বড় ছুরি, একটি কাঁচি ও একটি পিত্জা কার্টার উদ্ধার করা হয়। এর পর তাদের দীর্ঘ ক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করে যা জানা যায় তাতে রীতিমতো শিউরে ওঠেন সকলে। জানা যায়, স্কুলের অন্তত ১৫ জন ছাত্রছাত্রীকে খুন করে, কেটে তাদের মাংস খাবার পরিকল্পনা ছিল এই দুই কিশোরীর। শুধু তাই নয়, পান করবে তাদের রক্তও! এর পরই পুলিশে খবর দেওয়া হয়।


এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্তা জ্যাকলিন বেয়ার্ড জানান, স্কুলের অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার এই দু’জনকে ‘ফার্স্ট ডিগ্রি মার্ডার’-এর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপরাধ ভাবনার অভিঘাত এতটাই মারাত্মক যে, এই দুই অভিযুক্তকে জুভেনাইল কোর্টে বিচার করা হবে নাকি বড়দের সঙ্গে, তা নিয়ে ধন্ধে ফ্লোরিডা পুলিশ প্রশাসন। এই দুই ছাত্রীর অভিভাবকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, গত রবিবার এই অভিযুক্ত কিশোরী একই সঙ্গে ছিল। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, গত রবিবার টিভিতে হরর থ্রিলার ছবি দেখার পরই দুজনে এই ভয়াবহ পরিকল্পনা করে।