নিজস্ব প্রতিবেদন- গভীর রাতে ইউক্রেনে ভেঙে পড়ল একটি সামরিক বিমান। মোট ২৭ জন যাত্রী ছিল ওই বিমানে। ২২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। নিখোঁজ পাঁচ জন। নিছক দুর্ঘটনা নাকি বায়ু সেনার এই বিমান হামলার শিকার হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পূর্ব ইউক্রেনের চুহুইভ শহরের কাছে ঘটনাটি ঘটেছে। বহুদিন ধরেই এই অঞ্চলটিকে ইউক্রেনের থেকে আলাদা করার জন্য সক্রিয় রাশিয়ার মদতপুষ্ট বিদ্রোহীরা। তাই হামলার সম্ভাবনা একেবার উড়িয়ে দিচ্ছে না ইউক্রেনের সামরিক বিভাগ। গভীর রাতের এই বিমান দুর্ঘটনার পর এলাকায় তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস ও সেনা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

An-26 পণ্য পরিবাহী বিমানটিতে খারকভ এয়ারফোর্স ইউনিভার্সিটির কয়েকজন ক্যাডেট ছিলেন। চুহুইভ শহরের একটি সামরিক বিমানঘাঁটি থেকে মাত্র তিন কিমি দূরে বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ওই এলাকা বহুদিন ধরেই অশান্ত। ইউক্রেনের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে প্রায়ই রাশিয়ার মদতপুষ্ট বিদ্রাহীদের বিরোধ লেগে থাকে। আর তাই বিমান দুর্ঘটনা বলে ঘোষণা করতে নারাজ ইউক্রেনের প্রশাসন। কারণ এর আগেও ২০১৪ সালের জুলাই মাসে অ্যামস্টারডাম থেকে কুয়ালালামপুরগামী এমএইচ-১৭ যাত্রীবাহী বিমানে মিসাইল হামলা হয়েছিল। যাত্রী ও চালক ও কেবিন ক্রিউ মিলিয়ে ২৯৮ জন নিহত হয়েছিলেন। ওই ঘটনার পর বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছিল। রাশিয়ার নাম জড়ানোয় বিতর্ক বেড়েছিল কয়েকগুণ। 


আরও পড়ুন-  চিনে ধ্বংস করা হয়েছে হাজার হাজার মসজিদ, ১০ লক্ষ মুসলিমকে 'ধর্মত্যাগ'


এবারও সামরিক বিমান ভেঙে পড়ার ঘটনায় রুশ মদতপুষ্ট বিদ্রোহীদের হাত থাকতে পারে মনে করছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী। আর তাই দুর্ঘটনাগ্রস্থ বিমান ও আশেপাশের এলাকায় তল্লাশি শুরু হয়েছে। উদ্ধারকাজ শেষ হলেই তদন্ত শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে। চুহুইভ শহর ও আশেপাশের এলাকায় এর আগেও একাধিকবার রুশ মদতপুষ্ট বিদ্রোহীরা সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ।