নিজস্ব প্রতিবেদন: বাড়ির টিনের চালে এসে পড়েছিল এক উল্কাপিণ্ড। সেই উল্কাখণ্ড বেচে কোটিপতি হলেন সেই বাড়ির মালিক এক যুবক। টাকাটা খরচও করে ফেলেছেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘটনাটি ঘটেছে ইন্দোনেশিয়ায়। উত্তর সুমাত্রার কোলাঙ্গের বাসিন্দা বছর তেত্রিশের জোসুয়া হুটা গালুঙ্গ কফিন বানানোর কাজ করতেন। কয়েকমাস আগে তিনি বাড়ির কাছেই তাঁর কাজে ব্যস্ত ছিলেন। হঠাৎই বিকট এক শব্দ পান এবং চমকে উঠে দেখেন আকাশ থেকে একটি কিছু এসে তাঁর বাড়ির টিনের চাল ভেঙে ঘরের মধ্যে পড়ল। খুবই ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। গোটা এলাকাটাই কেঁপে উঠেছিল। ভয়  কাটিয়ে খানিক বাদেই ঘরে ঢুকে দেখেন সেখানেও তছনছ অবস্থা। ছাদ ভেঙেছে, ঘর তছনছ-- প্রাথমিক ভাবে অবশ্য নিজের দুর্ভাগ্যে মনমরা হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তবু আগ্রহ চাপতে পারেননি। কী এসে ঘরে পড়ল দেখতে গিয়ে দেখেন একটা পাথরের খণ্ড। তখনও সেটি গরম হয়ে আছে।  ততক্ষণে তো উৎসুকেরা ভিড় জমিয়েছেন। পাথরখণ্ডটির ছবি তুলে ফেসবুকে দেওয়া হল। মুহূর্তে ভাইরাল হল সেটি। পরে জোসুয়া জানতে পারেন, সেটি যে-সে জিনিস নয়, একটি গ্রহাণু, উল্কাখণ্ড।  


স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জোসুয়া পরে জানান, 'বিকট শব্দ করে উল্কাটি বাড়ির ছাদে আছড়ে পড়ে। বাড়িটি কাঁপছিল। উল্কার আঘাতে টিনের চালের কিছুটা অংশ ভেঙে যায়। উল্কাখণ্ডটিকে স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছে নিয়ে যাই।'


পাথরখণ্ডটিকে পরীক্ষা করে জানা যায়, সেটি সাড়ে চার বিলিয়ন বছরের পুরনো একটি উল্কাপিণ্ডের অংশ। প্রায় ২.১ কেজি ওজন। সেটি বিক্রি করে ১০ কোটির বেশি টাকা রোজগার হবে জোসুয়ার। পরে গ্রহাণুটি একজন পাথর সংগ্রাহকের কাছে বিক্রিও করে দেন জোসুয়া। আপাতত অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে তরল নাইট্রোজেনে এটি রাখা আছে। 


বিপুল অর্থপ্রাপ্তির খবরে স্বাভাবিক ভাবেই আনন্দে আত্মহারা হন দরিদ্র শ্রমিক জোসুয়া। কী করলেন তিনি ওই টাকায়? এলাকায় একটি গির্জা তৈরির টাকা রেখেছেন।  নিজের সংসার খরচের টাকা তো রেখেছেনই। অনাথ আশ্রমেও প্রচুর অর্থ দান করেছেন। সব মিলিয়ে তিনি খুশি।  


আরও পড়ুন: পুরুষতান্ত্রিকতার হেজিমনি? পুরুষের জন্যও একটি দিবস!